তোমরা কি ভাই জানো, কোথায়
মেঘ বালিকার বাড়ি?
সবাই মিলে একটু যেতাম
ইচ্ছে ঘোড়ায় চড়ি।
কাদছে কেন মেঘ বালিকা
আজ কটাদিন ধরে?
থামছে না তার কান্না যেন
যাচ্ছে শুধুই বেড়ে।
চায় সে কি? তার বায়না কীসের?
বলতো যদি এসে!
পূরণ করে দিতাম মোরা।
কাদতো না আর বসে।
জানে কি সে, আমরা কদিন
আবুড় চুবুড় ভিজে।
বাইরে যাওয়া যায় না কোথাও।
মন বসে না কাজে।
বন্ধ কদিন মোড়ের পারে
শ্রমের বেচাকেনা।
বাড়ির পাশের দোকান ঘরে
অনেক টাকা দেনা।
তেল লবন আর চাউল ডাউল
কিনবো কেমন করে?
দোকান বাকীর একটি খাতা
পূর্ণ আমার জেরে।
কদিন ধরেই বলছি দিব
আর ক’টা দিন গেলে।
‘ক’দিন’ গেছে অনেক আগেই
বলবে কি আজ পেলে?
কানের কাছে গিন্নি এসে
বলছে বারংবার।
নেই কোন চাল। করব কি তাই
হাফকেজি চাল ধার।
ছেলে মেয়ে আমরা দুজন
ওক্ত খানেক হবে।
সকাল বেলা নতুন করে
আবার কোথায় যাবে?
তার চে বরং এককেজি চাল
দেয় কি দেখ চেয়ে?
বলবে তাদের যে করে হোক
কালকে দিব দিয়ে।
দুদিন ধরে মেয়ের অসুখ
ছেলের গলায় কাশি।
কালকে খানিক কম ছিলো আজ
একটু আবার বেশি।
শুনছি শুধু সবার কথা
ভাবছি মনে মনে।
আমার মত এমন কাঙাল
আর আছে কয়জনে?