ক্ষণে ক্ষণে তনু মনে ডাকি যে তোমায়,
অজস্র জল রাশি চোখের কিনারে আমায়।
আপন বলে আর তো কেউ নাই,ডাকিবো কাকে
বলো?
জন্ম ধাত্রী, নিভৃতে অশ্রু বিসর্জন কারিনী তোমাকে
মা, বলে ডাকি।
আর যে কত জনে স্বার্থে পরিলে পা নড়া চড়া করে
কী জানি কি বলে বসে।
স্বার্থ বলে কি যে আছে, পাইনি আমি তোমাতে।
কত দুয়ার খুলে রাতের গভীরে বসে একাকী,
পুত্র পুন্জে,বাবা বলে ডাকি ডাকি।
আমি দেখিছি তোমায় সকলের মায়ায়,
যেথায় থাকি তবুও স্বরি তোমায়।
প্রাণ যে ছটফট করে না দেখিলে একবার,
ধ্রুবতারার মতো অনেক বড় আকাশে একটি
নক্ষত্র যেমন রাতের নিঝুম অন্ধকারে ভাসে,
সেথায় তোমায় খোঁজে পাই আমি,
মা.........মা..........মা...........।
শীতের রাতে মোর আন্জুলিকে বক্ষে ধরিয়া,
আপন গাকে শীতল করিয়া কাটালে কতো কাল।
ভুলিবো আমি কেমনে তোমায় আমার প্রতিটি
মুহুর্তে তোমার ভাল বাসা স্নেহ ,মমতা আজও
আমাকে ডেকে বলে নিদ্রাহীনার মতো আকাশে
জেগে থাকা উজ্জ্বল ধ্রুবতারা।
নির্নয় ন জানি ক্ষমা করো মোরে,
কত সুখে রাখতে পেরিছি তোমারে আপন করে।
পারিবনা, পারিবনা, তোমায় ভুলিতে কবু,
চোখের মণি, আদরের পরশ হয়ে থাকিও তবু।