নিশ্বাসে গরম হাওয়া, মুখে আগুনের গান,
আমি এতকাল খাইছি মামু, তুই খা এখন খানিক খান।
আমি চুষেছিলাম, তুই কামড়ে খাস যখন তখন,
এইভাবে ক’দিন চললি তুই? বাদবাকি আমি তখন!
মিলে ঝুলে চলবে সব, যতক্ষণ না মেটে খিদে,
সমালোচক বলে, "তোমরা কোথায় ছিলে এতোদিন রে?"
সবই যেন পলাতক, মুখরোচক গুষ্টির ভিড়ে।
নিস্পেষিত, ভুখা, নাঙ্গা আমি, হুঙ্কার বাজে কণ্ঠে,
তোমার ভূমি ছিনিয়ে নেব, জবর দখলের ধ্বনি কাঁপে।
পুবের নানাকে ঠেকাতে, উত্তরের মামু পায় ঠাঁই—
আমার মুখে চুনকালি, তবু থামবে না বিদ্রোহের ঠেলায়।
বয়কট বয়কট করো তুমি,
আমার রিবন চশমা চোখে, তাতেই দেখি সব ছবি।
নিজের সাথে জিহাদের ময়দানে দাঁড়ানো পাবলিক আমি,
জুতা চুরি করেও বাজাই বিবেকের ধ্বনি।
রাজনীতি রাজনীতি—ভাঙো বৈষম্যের ছায়া,
অর্থনীতির তলা খুঁড়ে, শিরোপা ধুয়ে খাই কাঁচা পানি ছায়া।
মন্ত্রী মশাই বলেন ঝরঝরে ইংরেজি—
"আসবে শুধু টাকা টাকা, বাজবে কানাকানি।"
পুলিশ গেল, শিক্ষা গেল, নিঃশব্দে হারাল শব্দের মঙ্গল,
তবু হোক তোমার শোভাযাত্রা, আমার আনন্দ যাত্রা আরও দুর্দম।
ওই দুষ্টু জিজ্ঞেস করে—“মঙ্গলবার হয় না কেন আনন্দবার?”
মঙ্গলগ্রহেই বুঝি মিলবে আনন্দের ভার!
টিকিট কেটে যাব একদিন, নেবো এক চুমুক স্বপ্ন,
হালাল হালাল রব ওঠে, ঢাক বাজে যতই মূর্তি নিয়ে হোক কল্প।
এই তো আমার কবিতা, বিদ্রোহী কণ্ঠে কাঁপে,
সময়ের মুখোশ খোলো—দেখো, কোথায় সত্য চাপা পড়ে থাকে।
হা.. রে.. রে. রে. রে.
দরজা খুলিনা ভঁয়ে, প্রানটাই যেন যায় এইবারে।
………………………………………..
স্থান: শাহ আলম, মালয়েশিয়া।
সময়: রাত ১০টা।