হৃদয় আজি করিছে বিদ্রোহ; বিষাদে,
দামামা বাজিয়ে, রণ সাজে।
ঝনঝন নৃত্যে, তাণ্ডব বারি ঝরায়ে,
অজর হুঙ্কারে, ত্রিলোক কাঁপায়ে।
..................
আজি মনে হয়,
কেবলই বিঁধি বর্শা, খড়গ, খঞ্জনে,
ধড় হতে মস্তক নিধনে।
আছে যত কূপমণ্ডূক, সাজিছে আসনে,
রাজারও বেশে।
..................
আরে মূর্খ, আরে জড় গোবিন্দ,
তুই তো পেয়েছিস, দুই এক ডালা ফুল,
গন্ধ হারা জীর্ণ কতক বকুল।
প্রেমিক বিহনে ; সমীরের টানে,
ধেনু মাড়া; সময়ের অতলে স্বাক্ষর,
ধুঁকি ধুঁকি অর্ঘ গোকুল।
..................
তারি মাঝে, নিজেকে উচায়ে,
কি জানি দর্প দেখায়ে, মিছেমিছি গরবে ,
নিজেকে বিহারে, বাঁধো নিচতার কাতারে।
কেন করো ছল, নিজেরই সাথে,
যখন নিজেই জানো, নিজের তল।
..................
আমি নজরুলের বিদ্রোহী,
দুর্বিপাক, দুর্নিবার।
আমি বীতংস, বেয়াড়া,
পেছনে আছি বটে, নিঃশেষ হইনি এতকাল।
আমি ঝঞ্ঝাট , না জ্বলা বারুদ,
মরু তেজের ন্যায় দীপ্তমান,
জ্বলে উঠি, জ্বালিয়ে দেই ,বারংবার।
কখনো বজ্র , কখনো ঝল্কা; দাবানল,
জ্বালতে পারি সব; বস্তু, বিষাদ, বিশ্রুত, বড়াই,
বিশ্বলোক; অমঙ্গল।
তোমার গদি! এ কিআ বাত!
..................
বিঃ দ্রঃ কবিতাটি 'সৈনিক' (তমুদ্দিন মজলিসের বুলেটিন-২১) পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। (পাতা-৬) (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং )