ডুবে ডুবে ভেসে উঠেছে
প্রকৃতির হাস্যকর হাসিমুখ।
সেজেছ কেন? রূপে আমার শতগুণ।
প্ল্যাস্টিক সার্জারীর দরকার আছে?
ও মেয়ে! দূর হও।
মিশে গিয়ে বলোনা তুমি কত সুন্দর!
আউলা চুলে ছবি
হাহাহা! মরি মরি অমনি ছদ্মবেশে
খোঁপায় বেলীফুলের গোছা, সাজুগুজু বেশ।
ও মেয়ে! লিপস্টিক গাঢ় গন্ধ অসহ্যকর।
বেলীফুলের গন্ধে পিছুপিছু ঘুরবে না পুরুষ মৌমাছি।
ক্ষণে ক্ষণে দাঁড়িয়ে দেখা
বিরক্তিকর! লজ্জা লাগে না মোটে?
শাড়ির আঁচলে কতো সৌন্দর্য! রূপে কি আছে বটে?
গোলাপ হাতে কথা বলোনা প্রিয়জনের সাথে।
সে ভাববে, তুমিই প্রকৃত রূপবতী।
আর আমি গোলাপ! অশ্রু চলে আসে।
মেহেদী রাঙা হাত
কপালে লাল টিপে লুকোচুরি
আহারে! আর কতো কারচুপি।
আত্মহত্যা ছাড়া পথ বাকী আছে?
পিষিত সৌন্দর্যে আমি অবহেলিত।
মেহেদী পাতা! শুধু শুধু অপচয়।
গোধূলিলগ্নে এসে হাজির
সন্ধ্যের হিংসুটে হীনমন্য চাহনি
ও মেয়ে! কেন এসেছ?
আমার সৌন্দর্যে আঘাত হানতে।
আমি সন্ধ্যে! তোমার রূপে বিমোহিত হওয়ার নই।
বি দ্রঃ প্রিয় বন্ধু ও কবি রিদিকা মাইমুনের ছবির উপর লেখা কবিতাটি। কবিতাটি উৎসর্গ করলাম রিদিকা মাইমুনকে।