কলেজ শেষে ছেলেটি
ধরেছিল টিউশনি।
বাড়ি বাড়ি এবেলা ওবেলা
চুটিয়ে টিউশনি তার মেলা।
দিয়েছিল সবটা তার
দেয়নি পড়ানোয় ফাঁকি আর।
পড়াশোনায় ভালো সে ,
অঙ্কে করেছে স্নাতক,
ছিল চোখে অনেক স্বপ্ন,
একদিন  সে বড়ো হতে চেয়েছিল ।
সংসারে ছিল অভাব অনেক খানি
স্বপ্ন ছিল সে বড়ো হবে
পাহাড়ের মত।
আগে একটা দুটা ছিল টিউশানি
নিজের পাথেয় হয়ে যেত ।
এখন সে পড়ায় শুধু পড়ায়
টাকা আসে হাতে সংসার চলে যায়
স্বপ্ন ছিল চাঁদ ছোঁয়ার
একটি করে বয়স বেড়ে যায়।
সংসারের বড়ো সে
চেয়েছিল সমুদ্র হতে।
একটির পর একটি ক্লাস আসে যায়
নামডাক চারিদিকে ছড়িয়ে যায়।
চেয়েছিল সে আকাশ ছুঁতে
বয়স তার বড়ো হয়ে যায়।
একটির পর একটির
চাকরির পরীক্ষা দিয়ে যায়
বড়ো হতে চেয়েছিল একদিন সে।
দিনরাত টিউশানি করিয়ে
ভাঙা গলায় গরম জলে
গারগেল দিবারাত করে যায়।
দেয়নি সময় নিজেকে কোনদিন
একটু সময় পেলে পরের কথা ভেবে যায়।
ছিল তার বান্ধবী আগে থেকে
ছিল প্রেম তাদের গভীর যে।
মেয়ের বর আর কে চাই টিউটর
টিউটর ভালো চাই বাবা মা সব।
হলো দুজনের ছাড়াছাড়ি
ছেলে ছিল বড় ইজ্ঞিনিয়ারি।
ধরতে চেয়েছিল চাঁদ সে
এখনো হয়নি বড়ো সে।
এক চাঁদ যায় দূরে
আর এক চাঁদ আছে পড়ে।
চাঁদের আলো কপাল ছোঁয়
দেবদারু গাছের পাতার ফাঁকে।
ফাঁক সে রাখেনি কোন দিন
ছিল ক্লাসের টপার ফি বছর।
চেয়েছিল বড়োর  মতো হতে
হয়েছে সে বড়োর মত সংসারে ।
স্বপ্ন গুলো দূর থেকে হেসে যায়
হাসি মুখে দিনরাত সে কেঁদে যায়।
দিয়েছিল কথা সে পাশে থাকার
কবে চলে গেছে সে ওপার।
ছাত্র আসে ছাত্র যায়
চাঁদ আস্তে আস্তে দূরে যায়।
তার স্বপ্ন পা ছুঁয়ে যায়
হাতে গড়া ছাত্রের বড়ো হওয়ায়।
পূর্নিমায় চাঁদ হয়ে যায় বড়ো
হাত কবে তার হয়ে গেছে ছোট।
এখন সে বারো বাই দশ ঘরে
আয়তক্ষেত্র এঁকে যায় একমনে।