সখি ,
আমাদের মধ্যে একটা অস্পষ্ট পাঁচিল দেখা যাচ্ছে ,
মনের মধ্যে কেমন একটা ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে।
এখন তো আমরা একসাথে পূর্নিমা চাঁদ দেখিনা।
অমাবস্যায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো
গায়ে মেখে কত দিন হাটিনে।
কুয়াশার মধ্যে দিয়ে সকালে
আমাদের হাঁটা ভুলেছি কবে।
জোয়ারের ভয়ংকর ঢেউ এর সাথে
আমরা খেলেছি কবে -পড়ে না মনে।
সখি,
আমরা এমন ছিলাম কি?
কত পথ দুজনে হেঁটেছি
আজ পথ আছে
আমরা হাত ধরতে ভুলে গেছি ।
এখন ভাঙা চাঁদ দেখে হাসে,
অন্ধ পেঁচা ব্যঙ্গ করে যায়।
বাঁশবনের হাসির শব্দ কানে আসে।
আজ কেন মনে হয় আমরা বড্ড একা।
নদী তার পার ভেঙে নির্জনে কেঁদে যায়।
কচুরিপানার উপর এখনো বুনো মুরগী দল হাঁটে
শোল মাছের ঝাঁক এখনো জলে খেলা করে।
সখি,
এখানে সবাই ক্লান্ত
অর্থের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে যাওয়া মন
কোন সময় সরে গেছে তোমার থেকে ।
সখি,
এখন নির্জন সন্ধ্যায় তোমার আমার গল্পে
কাটিয়ে দিতে চাই সারারাতটি,
তারাদের মাঝে বসে শিশিরের ঝরার শব্দে ।
আবার ,তোমায় পেতে চাই সমুদ্র বকের ডানায়
ঝড়ে পড়া নীল আলোর মত।