দাঁড়িয়ে আছে উত্তরে  জয়ন্তী পাহাড়
সবুজ ঘোমটা ঢাকা ডুয়ার্স কন্যা তার।
ছেড়ে আসি কালজানি দক্ষিণে বায়
ছেড়ে আসি চেকো তোমারে কি জানায়।
কালচিনি ,মাদারীহাট,কুমারগ্ৰাম ভাই
দেখছ রায়ডাক নদীর সৌন্দর্য এক লহমায়।
টোটো জাতি দেখিতে  যদি চায় মন
টোটাপাড়ায় পাবে তারে ,পাবে পাশে ভূটান।
ছেড়ে আসি হাসিমারা,জয়গাও তোমারে কি ভুলি
কাঞ্চন কন্যার কোলে বসে  তোমারে দেখি।

ছেড়ে আসি তুরতরী যারে দেখি দিবারাতে
ছেড়ে আসি ভুটান ঘাট সংকোষের তীরে ।
বরই বাগান খানি একদিকে ছেড়ে
হাতির দল আসে শীতল জল খেতে।
ছেড়ে আসি হাতিপোতা জঙ্গলে ঘেরা
ছেড়ে আসি চা বাগান সবুজের মেলা।
চোখ ফেরানো যায়না তার রূপ দেখে
কি দেখিলাম! মনে গেছে চিরকাল গেথে।

ছেড়ে আসি জয়ন্তী নদী তোমার ধূসর রুপ
তোমার উপরে জ্বলে মহাকালের ধুপ।
রাজা ভাত খেতে গেছিল রাজা ভাত খাওয়ায়
ডিমা নদী তাহারে জলপান করাই।।
তোর্সা নদীর তীরে তুমি পাবে জলদা পাড়া
সেথায় ঘাসে লুকোচুরি খেলে গন্ডার সর্বদা।
অরন্যের দামাল ছেলে থাকে খুশি মেজাজে
চিতাবাঘ মাঝে মাঝে উৎপাত করে।

বক্সায় দেখা পাবে তুমি দক্ষিনা রায়
সতীশ পাকরাশি বন্দী ছিল যেথায়।
অপরূপ সুন্দরী তুমি তোমারে না ছেড়ে যেতে চাই
তোমার সৌন্দর্যে পাগল আমি কি করব ভাবি তাই।
তোমারে  পাব ওগো প্রেয়সী দক্ষিণে কি?
অবুঝ মন আমার কাঁদিবে  তোমার প্রতি।
হা হা সব কিছু ছাড়ি চলে আসি নদীয়ায়
কিছু যদি বাকি থাকে ক্ষমা করো আমায়।