হে ঘুমন্ত প্রভাতের প্রদীপ্ত প্রাতিঃ!
করেছো দীপ্ত এ ঘর, দীপ্ত আমার আঁখি!
আজ, বেদনা ভরা সে তীমির খাঁচা ভেঙে,
উড়ে দীপ্ত দ্যুলোকে সে মুক্ত পাখি।
ঐ মাঘের মমতায় শিহরিত এই প্রাণ,
প্রাতেঃ মনের মিনারে বেজেছে ঐ জাগরণের গান।

তনু বিধুনিত হে প্রতিক্ষিত উষা!
অনুভবি তোমায় আজ এই মন বিধুনিত শীতল পবনে।
পাখিরা আজ আঁখি খুলে উড়ে যায়
দীপ্ত শপথ সম্মূখ, ভাঙা ভাঙা ঘন নিলাম্বরে।
শত ভূগোলের আঁধার কাঁটিয়ে এসেছো আজি এ বঙ্গে। অঙ্গে অঙ্গে লেগেছে হাওয়ার কোমল প্রেম আজ;
দূরে ঐ মগ্ন মরুর মহিরুহ যেন লাব্বাইক
ধ্বনিতে মশগুল।
সেই খর্জুর বালার অঙ্গে বেজে উঠে যেন শুকনো ডালার নুপুর!

ওহে আলোর অচল পরে প্রেমে পুড়া রবি!
তুমি দেখেছো তাঁর ধ্যান? দেখেছো কি সেই কবি?
তার আলোকিত দেহ, লেগে বুঝি পেলো সে
"জাবাল-ই নুর" এর খেতাব?
সে যে মানবতা মুক্তি চেতনায় বেতাব!
হে প্রতিক্ষিত প্রভা!
তুমি দেখেছিলে ঐ রূপ?
নুরের পাথরে গড়া পাহাড়ী স্তূপ?
হে সন্ন্যাসী উষা!

আজি,
মৎস ভরা মুগ্ধ দীঘির দুগ্ধ জলে গাঁথা শুকনো
বাঁশের ডগে, মাছরাঙা মজেছে মাছের প্রেমে।
কেমন এই প্রেম?
ধরে গিলে নেয়া কী এই ভালোবাসা?
পাশের কাননে সোনালী তনের ঘর্মে মধুর
সেজেছে প্রসুণ রাজি, হয়ে তাঁরি অনুরাগী।
'আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে' স্মরি নজরুল
প্রেমময় বাণী।