চিঠি
তুমি কেমন আছো?
আজকাল আর তোমার
সময় হয় না খুব,
অতটা সময় কোথায় তোমার?
কতটা ব্যস্ত হয়ে গেছো তুমি,
অথচ, এই তুমিই একদিন
দিনভর মুঠিমুঠি রোদ্দুর
জমিয়ে রাখতে আমার জন্যে,
বলতে, তুমি তো চাঁদ,
তোমার নির্ণিমেষ অন্ধকার পোড়াতে
আমরাও একদিন-
আমার এ ক্লান্তিহীন
রোদেলা সংগ্রাম।
শুনেছি, আজ আর তুমি
সূর্যের প্রতীক্ষা করো না
টাংস্টেনে চাঁদ ওঠে ঘরে।
নক্ষত্ররা তোমার জন্যে
তাকিয়ে থাকে প্রতীক্ষায়।
এতো যদি ব্যস্ত তুমি, এতো যদি কাজ
কেন তবে মাঝপথে
দাঁড় করিয়ে রাখলে আমাকে রাজাধিরাজ!
সেই যে দাঁড়িয়ে থাকা
কতোটা বসন্ত
কতোটা শরৎ
কতোটা ষড়ঋতু বছর বছর।
সেই যে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা
কী কষ্টকর প্রতীক্ষা প্রহর।
সেই যে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
আজো আছি
অথচ আমার বয়সী
অশ্বত্থ চারাটি
বেড়ে বেড়ে কিরকম
সুবিশাল বৃক্ষ হয়েছে।
ভাঙন কবলিত নদীটি এখন
সাগরের মোহনা ছুঁয়েছে
তবুও প্রতীক্ষার প্রহর কাটেনি।
তবে কি তোমার জন্যে আমি
ঘড়ির কাঁটার পায়ে শিকল পরাবো?
থামিয়ে রাখবো পৃথিবীর আহ্নিক ও বার্ষিক গতি?
বন্ধ করে রাখবো সময়ের দ্বার?
বারংবার?