অসমাপ্ত যীশু

চলচ্ছবি; নাগ্নিক দেহ দেখে কেঁপে ওঠে
জুমের কোটর থেকে
অভিলাষি মানবি পেঁচক।
জলে ডুবে পা
নির্ঘণ্ট তাঁর ষোড়শীজ হয় ক্রমাগত ছবি।
ছবি নয় ছায়া নয় পূর্ণিমার চাঁদ,
টোঙের ভেতর থেকে
চাঁদের মতো দুহিতারা,
পাহাড়ি জ্যোৎস্নায় ঋতুমতি হয়।
ঋতুর ঝর্ণাজলে হুমড়ি খেয়ে কুপুরুষি মানবি পেঁচক
অসংলগ্ন জল খায়।
জলদাত্রি চিৎকার করে দেবেনা জল, তবু-
তৃষ্ণার কাপে কেঁপে ওঠে ওষ্ঠাধর,
ঠোঁটের রোদ্দুর বায়ুশূন্য করে তোলে
সম থেকে বন্ধুর শরীরী আকাশ।
তারপর ক্রমাগত-
স্রাবের ঝর্ণাজলে ডুবায় বামন পা;
উর্বর জুমচাষ।
ঈশ্বরের বীজ স্খলিত প্রেততলে
তলপেটে রপ্ত হয়ে যীশুর আবাস,
বি-মূক ঝর্ণায়
গাত্রে ও সানুতলে, ড্রেনে
উম্মত কীটের সাথে খেলা করে
অসমাপ্ত যীশু।

অসমাপ্ত যীশু/ ১৯৯৪, পাহাড়তলী, চচট্টগ্রাম।