রক্ত-মাংস নয় আমরা জলরং তেলরং খড়িমাটি দিয়ে একজন পেশিবহুল কৃষক নির্মান করতে চাই,
যে কৃষক মৃত্যুর কল্লোল থামিয়ে তেপান্তরের মাঠে নিয়ে আসবে গভীর আত্মপ্রত্যয়,
যে কৃষক প্রথা ও নিয়মের বেড়াজাল ডিংগিয়ে দিতে পারে তুমুল চিৎকার!
যে কৃষক ভাংগনের ডাক দিয়ে উদ্দীপ্ত করে তোলে অতৃপ্ত আত্মাকে,
যার সুতীব্র চোখের আগুন আর ভারী কন্ঠের আওয়াজের ভেসে যাবে সমস্ত অন্যায়!
আমাদের নির্মিত কৃষক একদিন স্বপ্ন আর মিছিলের স্ফুলিঙ্গ নিয়ে হেঁটে বেড়াবে পৃথিবীর বুকে বুকে,
যার এক পিঠে সোনালী নিয়তি তো অন্য পিঠে ভর করবে নীল রসরাজ!
এই কৃষক সেই কৃষক; যে কিনা রাজনীতির শুকনো কথাগুলোকে চটচট করে খাঁটি শিল্প বানিয়ে ফেলে
অভিধানের মৃত শব্দের শিলাস্তূপ থেকে বাঘা বাঘা শব্দ বাছাই করে সৃষ্টিশীল গদ্যপ্রবাহ তৈরি করে ফেলে!
আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে স্পর্শ করি সেই কৃষকের
নাক, চোখ, গাল, ঠোঁট!
বাস্তবিক আমি ছুঁয়ে দিই ইতিহাস,
কিংবদন্তি, স্থাপত্য, শিল্পজ্ঞান আর সময়কে!
আমরা পোড়া মাটি দিয়ে প্রশস্ত পাঁজরের একজন কৃষক নির্মাণ করতে চাই…