ওই দেখা যায় খেঁজুর গাঁছ
ওই খানে আমি থাকি,
খেঁজুর গাঁছ কাটতে যে আর
অল্প কদিন বাকি।
যখন ও গাঁছ কাটা হবে,
কলস ভরে রস ঝরাবে;
দুধ দিয়ে চিটা পিঠা বানাবো,
খেঁজুর রসে তা ভিজিয়ে খাব;
খেঁজুর রসের পায়েস হবে
চালের গুড়া দিয়ে,
চুরি করে সেটা খাওয়া হবে
রান্না ঘরে গিয়ে।
জৈষ্ঠ্যের কালে,
খেঁজুরের ডালে,
কত কত ভাই খেঁজুর পড়ে,
সকাল সন্ধ্যা ভর দূপুরে,
কখনো বা কাঁকের ছাঁ
লুকিয়ে সে থাকে,
এমন করে মারব
আসবে না বাঁকে।
কারও বল না একদিন খুব ভোরে উঠে,
সব কটা খেঁজুর নিয়ে নিব মোরা খুঁটে।
আমি কারও দিব না,
বাড়ি আনলে আপা করবে ছলনা,
না হয় দিলাম দুটো,
বলবে কি জানো?
পুকুর পারে রেখে এসেছিল
এই হবে তাঁর ছুঁতো।
কখনো বা ফাঁগুণ বেলায়
শতখানি চেতনা ভুলায়;
কখনো বা ভর দুপুর বেলা,
যদি শেষ হয় আমার খেলা;
এ গাঁছ আমার বন্ধু হবে,
আর যে যেথায় থাক সেথায় রবে,
কখনো বা ঐ রাতের কালে,
পড়া শেষ হলে আসব চলে,
হীমেল শো শো বাতাসে,
বসে থাকব উদাসে।
হটাৎ করে ভাই ডাকবে,
আপা চেঁচিয়ে হাঁকবে।