খোলা মাঠে দাড়িয়ে আমি বিকেল বেলা,
ঘুরির সুতা হাতে করেছি খেলা।
বাতাশ বয়ছে ভালো, ঘুড়ি উঠাবো আরো,
কিছু সুতা ছেড়ে আমি বার্টাং হাতে,
ছুটে চলে আকাশ পানে,
নাহি বাঁধা কভু মানে,
মেঘলোকে যাবে সে জোৎস্না রাতে।
কখনো খেলার ছলে, সুতা একটু টান দিলে,
মাথা করে নড়ানড়ি,
কখনো সে আসবে না ভুলে,
মনে সাধ বহু দুরে, সুতাখানি ছিড়ে সে,
আসবে না কভু সে,
উড়বে সে অবিরাম,
মুক্ত বাতাশে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, খেলা আজ শেষ হলো,
সুতাখানি টান মেরে বার্টাং ঘুরাতে থাকি,
কিছুক্ষণ পরে দেখি, নামতে সে কিছু বাকি,
মাথা করে নড়ানড়ি,
ইচ্ছাটি ভাঙে তারি,
ভুতলে আসিয়া সে কেন করবে গড়াগড়ি।
নেই তার স্বাধীনতা, পারে না সে কিছু একা,
সারাক্ষণ যেন চোখে রাখা,
দেহ তার সুতায় বাধা,
ইচ্ছাটি ভেঙে যায়,
কি করে সে ভেবে না পায়,
যদি ছিড়তো সুতা তার,
উড়ে হতো আকাশ পার,
চাঁদ লোকে যেয়ে সে, মঙ্লের ও পার,
ফিরত না আর কভু জানি ভুবনের ওপর।
কোন দিন হটাৎ করে, ভাগ্য তার গেছে চলে,
ছিড়ে গিয়ে সুতা তার, গ্রামখানি হলো পার,
কত খোজা খুজি যার,
তবু নাহি পাই তার,
হয়তবা মগডালে, নয়ত সে বিলে খালে,
কিংবা সে যেতে পারে দুনিয়ার ওপার।
কিছুদিন পরে, দুই ক্রোশ দুরে,
পাই তারে দেখা, পরে আছে একা,
মাছের ঘেরের ভিতর।