সেকালের কবিরা বুঝি
উর্দ্ধগগনে বসি
তাকিয়া দেখিতেছেন সবি
আর হাসিয়া খান গড়াগড়ি

দেখিয়া একালের বাঙ্গালী নারী
চক্ষু কপালে তুলিয়া কবি
ধূতিখানা কিঞ্চিৎ ঠাসিয়া ধরি
মূর্ছা গেলেন কবি
বলিয়া শুধু হরি হরি!!

বলিছেন কবি ক্রুদ্ধ স্বরে
মর্তে মানুষ রূপে
ইহারা বুঝি আজি এভাবে বাঁচে?
-০
কালে কালে এসে তটে
তোমরা সদলবলে
গান কবিতা গল্পের ছলে
বাঙ্গালীর সম্ভ্রমটাকে
সমৃদ্ধ করিয়াছো বটে

বাঙ্গালী আজি নিরুপায়
জীবিকার তাড়নায়
কোথা হতে কোথা যায়
নিজেও না জানে হায়

তবে, এখনো পাড়া গাঁয়ে
মেঠোপথটার ধারে
কোন এক কৃষাণীর ঘরে
ছোট্ট পুকুর পাড়ে
গৃহিণীর ফুৎকারে
এখনো ওঠে ধোঁয়া
তালতমালের গাঁ বেয়ে।

এখনো জ্যোৎস্না রাতে ঝি ঝি পোকা ডাকে বনে
এখনো ফোটে ফুল বসন্তের আহবানে
এখনো প্রবীণ মাঝি সুর বাধে ডিঙ্গি নৌকার তালে
এখনো বৈশাখ এলে ঝোড়ো বাতাস বহে।

পৃথিবীটা গোল ছিল এখনো গোলি আছে
তখনো মানুষ ছিলো এখনো মানুষ আছে
আপনারে ফেলিতে আধুনিকতারি ছাঁচে
আপন অস্তিত্ব ভুলে, শিকরটাকে সমূলে তুলে
বাঙ্গালী আজি বিবর্তনের ছলে
নগ্ন তাকে আধুনিকতা বলে
আপন পরিচয় বলিবার তরে
বাঙ্গালী বলিতে আজি তাই রুচিতে বাঁধে।