😂আঞ্চলিক ভাষায় কবিতার পোস্টমর্টেম😂

একদিন মা ডাকি কইলো
আঁর লগে চল,
চেরাং বাইর ছোডো মাইয়া
কেরুম লাগে বল?

চেহারা খান মিষ্টি ভারী
হড়ালেয়ায় বেশ,
মাতায় যেরুম বুদ্ধি-হেরুম
দীঘল কালো কেশ।

বয়স কত হার অইছে
আছেনি তোর জানা?
এবার ঘরে বৌ আইন্নুম
হুইন্তান্ন আর মানা।’

আঁই মদন, বেকার হোলা
মনে মনে ভাবি,
চেরাং বাইর মাইয়া হাইলে
করয়ুম মেলা দাবী।

বাড়ি দিবো, গাড়ি দিবো
আরো দিবো টাকা,
হেই টাকা দি গুইরবো আঁর
ভাইগ্য গাড়ির চাকা।

অগইত্যা মা’র কাছে যাই
শরম হাই কাশি,
আঁই রাজি, চলো আজি
মাইয়া দেখি আসি।

আঁই মা আর ঘটক মিলি
বিয়াল বেলার হর,
চেরাং বাড়ি হুছি দেখি
মাইনষে ভরা ঘর।

বইডার ঘরে, বসার হরে
দই মিষ্টি আর ছানা,
একে একে আইতে আছে
মেলা রকম খানা।

খানা দানার হর্ব শেষে
মুরব্বিরা বলে,
অহন তাইলে বিয়ের আলাপ
শুরু করন চলে।

মেয়ের বাপ কয় আঁসি দিয়া
‘আমরা বেকে ধইন্য,
এরুম হোলা কুইজতে ছিলাম
আঁর মাইয়া গার জইন্য।’

এবার আঁর কওনের পালা
তাই,এক্কানা যাই আগাই,
কইলাম আঁর, কতা আছে
কিছু বিষয় লই।

সোফা, টেবিল, আলমারি আর
একগা ছোডো বাড়ি,
চলাচলের লাই দিয়েন
চার চাক্কার এক গাড়ি।

সামাইন্য এই জিনিস কোগা
বিয়ের দিনে পেলে,
জামাই রূপে হাইবেন লগে
আঁর মতো ছেলে।

এই কতা হুনি শশুরে কয়
আসি আঁর কাছে,
যৌতুকের হেই দিন বাবা
অহন কি আর আছে?

আঁই কইলাম, যৌতুক না
এইটা উপহার,
বেক বাবারা দেয় হেতাগো
কইত্তে মাইয়া হার।

কিন্তু আঁর শ্বশুর মশাই
আঁর কথা কি হুনে?
হিসহিস করি কইছে কি যেন্
তাঁর মোবাইল ফোনে।

এট্টু হরে পুলিশ আই
ধৈললো গেঁডি চাপি,
পুলিশ দেইকবার হরে আঁর
কইলজা উঠছে কাঁপি I

হোগার উপর লাথি মারি
দারোগা সাব বলেন,
মেলা চিটিং বাজি অইছে
ওহন থানায় চলেন।

আঁই থানায়, মা’ও আছে
লগে ঘটক সাব,
দারোগা সাব কই গেছে
অইবোনা এর মাফ।

রিমান্ড অইবো, ধোলাই দিবো
জেল অইবো তার হর,
যৌতুকের অন মজা বুজবি
চেরাংগের হবু বর।

যৌতুকটা খারাপ ওহন
বুইঝতে ঠিকই পারছি,
কান ধইল্লাম এই বদ অভ্যাস
অহনের তোন ছাড়ছি।