"নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত"
আগে কন আন্নে কোনাই, হোকনা যত দূর,
শুধু স্টেশন যাই কন গন্তব্য সুদূর লক্ষীপুর।
লোকে লোকারণ্য-রে ভাই এক্কানা নাই ফাঁক,
দূর হইতে ভাসি আইবো কনট্রাক্টরের হাঁক।
হেনি মাইজদী লক্ষিহুরা যাইলে উডেন ভাই,
জলদি গাড়ি যাইবো ছাড়ি হাতে সময় নাই।
টক্কর করি না যাই উডি হেতের কথা ধরি,
কাউন্টারে যাই লন টিকিট ৪০০ টিঁয়া করি।
হোলটা হালটি ঘডি বাডি টিকিট বুজি লই,
দোয়া কালাম হড়ি লইবেন সিটের উর্পে বই।
জানলার কাছে সিট'গা যদি ভাইগ্য জোরে হড়ে,
আনন্দ বাতাসে দেইখবেন মন'টা খালি লড়ে।
নানা রকম গাছ গাছালি রাস্তার দুই হাশ ধরি,
সবুজ সাজে খাড়াই রইছে মাথা উঁচা করি।
খোয়া ঝরা শীতের কালে আইলে বেশি মজা,
হাগ লতা মাছ হিডা হাইবেন এক্কেবারে তাজা।
আরো হাইবেন খেজুর রসের মিষ্টি মধুর শিন্নি,
রাঁধেন ভালা চিকন হাতে আঁঙ্গো দিগের গিন্নি।
অন্য কালে-ও আইলে কোনো চিন্তার কারণ নাই,
অতিথি-পরায়নে আঁঙ্গো নোয়াখাইল্লার জুড়ি নাই।
হাল্গুন মাসে মন মজি উডে ঝি ঝি হোঁকের ডাকে,
কেবল মাইজ রাতে বুক কাঁপি উডে হিয়ালের হাঁকে।
কালের গাল যন হাঁসি উডে বসন্তের গা ঘেষি,
নাচে মন এক অজানন্দে অন্য কাল তোন বেশি।
আঁঙ্গো জিলার ডাব যে খাইছে হত্তি সমে মনে করে,
হেই-স্বাদের লোভে তার মুখের হানি লেল্লেরাই হড়ে।
আম জাম তাল কাঁডল কেলার স্বাদের কথা বাদ,
শুধু মুখের বার কইল্লে জানি হাতি থুইবেন ফাঁদ।
নোয়াখালী হুঁচি গেলে এট্টু চোখ মেলি চান নেমে,
বিশ্বাস আঁন্নে হড়ি যাইবেন নোয়াখালীর প্রেমে।
হায়রে, কত্তো সুন্দর নোয়াখালী ফেনী লক্ষীপুর,
মন হড়ি রয় এই জায়গা গুনে যাইনা যত দূর।