"নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত"
হেতে আঁরে বিয়া করি
আবার দিছে ছাড়ি,
এরুম হোঁড়া কইল্যার কলে
ঠুঁন্ডা হিচার বাড়ি।
কত কইলাম বাপ মায়ে’রে
বিয়া না দিবার লাই,
বিয়া বই না হাইলাম সুখ
না, হাইলাম এট্টু ঠাঁই।
জলদী বিয়া নইলে বেলে
চোলাই নিবো যগে বগে,
হেই ডরে আঁর বিয়া দিছে
এক আকাইম্মার লগে।
ভুঁইয়া বাড়ির চোডো হোলা
নাম চেগাইছে প্রিন্স,
টোঁ-টোঁ করি ঘুরে হিঁন্দী
মারু-হাপ্পেন জিন্স।
কাম করেনা কাইজ করেনা
বই খাতা লই ঘুরে,
হিরা আলা মোরগের লাইন
গাছ তলে বই যুরে।
কি জানি কি লেখে আর
বিড়ি টানে মনের সুখে,
হেই লেয়া যায় হুনা বেলে
মাইনষের মুখে মুখে।
হেতের লগে আঁর বিয়া দিছে
বুইজলাম না কি বুজি,
হইরের ঘরে খাইলাম শুধু
হারা বছর খুজি।
মধুর লগে বিয়া অইলে
অইতাম রানী শাহজাদী,
কইতোনা কেউ প্রিন্সের মত
কতায় কতায় হারামজাদী।
আঁর মতো রূপের মাইয়া
টোগাইলে কি আর হায়,
অনো দেইখলে বুড়িয়া বেডা
কানাই কানাই চায়।
হেতে আঁরে ছাড়ি-দি
ভাইংছে নিজের দিল,
হেই শোকে অন নিজের বুকে
মারে শুধু কিল।
হোঁড়া কইল্যা অইলে আর কি
যা অইবার তা অয়,
নইলে কি আর হেতের কতা
ঠোঁটের আগাত রয়?
আসলে যার লাই লইছি ঠুঁন্ডা হিছা
হেতেতো না, আঁই আঁনাড়ি,
মনে চায় অন হিছা ঘুরাই
নিজের কলে মারি বাড়ি।