হাজেরা কোরেশী অপিঃ
শৈশবের সেই মিষ্টি মধুর দিনের কথা কই,
আসতো যদি আবার ফিরে হতো যে মোর সই ।
দস্যি মেয়ে বলে আমায় ডাকতো গুরুজন,
সাথীরা সব মানতো হুকুম  উদার করে মন ।

রুসাফীঃ
দস্যি মেয়  দস্যি মেয় শৈশবের কথা কও,
বুড়ি দাদি দিলাম সই বানাইয়া লও।
সাথীরা সব মানতো হুকুম তুমি হতে খুশি,
তাই তো তোমায় গুরুজনেরা নাম দিয়েছে দস্যি।

হাজেরা কোরেশী অপিঃ
টিনের চালে গাছের ডালে অবাদ বিচরণ,
মানুষ নামের বাদুর ঝোলার ছিলো শিহরণ ।
পাকা ফলের গন্ধে সবার আসতো জিবে জল,
তরতরিয়ে গাছে উঠে দিতাম পেড়ে ফল ।

রুসাফীঃ
টিনের চালে, গাছের ডালে দেখে বাদুর ঝোলা,
ঠিক করেছে গুরুজনেরা দস্যি মেয়ে বলা ।
তরতরিয়ে গাছে উঠা দস্যি মেয়েরই কাজ,
পাকা পাকা ফল পাড়তে  কিসের শরম লাজ ।

হাজেরা কোরেশী অপিঃ
কখনো বা দিতাম ঠান্ডা কখনো গরম,
হাবলে পড়ে গিলতো সবাই খুশীতে চরম ।
দাদুরা সব আমার ভয়ে থাকতো এঁটে দোর,
সুযোগ পেলে লুঙ্গি খিঁচে দিতাম ভোঁ দৌড় ।

রুসাফীঃ
তোমার দেয়া ঠান্ড-গরম হাবলে সবাই খেতো,
তাই কখনো দস্যি মেয় হয়না কুভু তেতো ।
দস্যি মেয় দস্যি মেয় তোমার ভয়ে দাদু,
লুঙ্গি সামলে  লাউ আনতে নিয়ে আসে কদু ।

হাজেরা কোরেশী অপিঃ
দাদীরা সব লাঠি হাতে হতো ঘরের বার,
আমায় পাওয়ার সাধ্যি কোথায় আমি পঘার পার!
সারাদিনের মিশন শেষে ফিরে এলে ঘর,
মায়ের ভয়ে খাটের নীচে তনুটা থরথর ।

রুসাফীঃ
দাদীরা সব ফোকলা মুখে বোকে ভাঙ্গা দাঁতে,
কোথাও তোমায় পায়না খুজে শুধুই লাঠি হাতে ।
মাকে আবার দস্যি মেয় ঠিকেই করে ভয়,
দস্যিপনার সিদ্ধি শেষে খাটের নীচেই রয় ।

হাজেরা কোরেশী অপিঃ
জানতো যে মা আছি আমি তারই খাটের তল,
আদর করে নিতো কোলে ভলে সকল ছল ।
চুমোয় চুমোয় দিত ভরে আমার দুটি গাল,
ভাবখানা মোর বেজায় লক্ষী, ঘটে দুষ্টু চাল ।

রুসাফীঃ
দস্যি মেয়ের দস্যি পনায় থাকতো মিষ্টি রেশ,
তাইতো তারে সবাই মিলে আদর করতো বেশ।
দস্যি মেয়ের বিজয় গাঁথা এখানে আজ ইতি
ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময় দস্যি মেয়ের খ্যাতি ।