অতল জলের বুক থেকে উঠে আসে
একটি নীরবতা—
দূরের কোনো স্বপ্নের মতো।
বুদ্‌বুদের ভেতরে আটকে থাকে সময়,
ভাঙে আলো, ছায়ার প্রতিচ্ছবি হয়ে।

মেয়েটি ডুবে আছে—
সমুদ্রের কান্নায়,
জীবনের স্পন্দনে,
আর বাঁচার এক অমীমাংসিত প্রশ্নে।
তার মুখে জলছবি আঁকে রোদ,
আর তার নিশ্বাসে মিশে থাকে জলীয় অক্ষর।

শিরায় শিরায় বয়ে যায় নোনা স্রোত,
যেন কোনো হারিয়ে যাওয়া সুরের কোলাহল।
নাভির গভীর থেকে জন্ম নেয় নীরবতা,
তাকে টেনে নিয়ে যায় জলের অপরূপ স্পর্শে।

তবুও সে স্থির—
দৃষ্টি বন্ধ,
স্বপ্ন উন্মুক্ত।
তার চুপচাপ চিৎকার ছুঁয়ে যায়
জলরেখার অপর পাড়।

এই জলের তলে,
যেখানে আলো আর অন্ধকারের প্রেম চলে
শতাব্দীর পর শতাব্দী—
মেয়েটি রয়ে যায় এক অনন্ত প্রতিধ্বনি হয়ে।
একটি নামহীন, শ্বাসহীন,
জলের অন্তর্গত গান।