বলেছিলে অপেক্ষায় থাকবে,
একদিন দুজুনের পথ মিলবে একই বিন্দুতে।
সেই থেকে তোমার খেয়ালের বৃত্তে ঘূর্ণায়মান এক প্রেমিক,
বিশ্বাসের আকাশে সাজিয়েছে জীবন পশরা!

এরপর মাঝপথে হঠাৎ একদিন ঠিকানা বদলে নিলে।
লক্ষাধিক হলুদ বিকেল,
নিষ্প্রাণ সন্ধ্যা,
একাকী রাত,
শুধু তোমার অপেক্ষাতেই
সময় করে রেখে যেত দু-মুঠো দীর্ঘঃশ্বাস।
বড্ড অভিমান হতো তোমার উপর
তুমি আকাশের ঠিকানাটাও দিয়ে যাওনি!!
অথচ আমার অভ্যাসী মন
রোজ দু-চার পঙতি লিখতো তোমার জন্য।

কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে অনেকটা পথ,
অপেক্ষার গভীরতায় পড়েছে ধুলোর আস্তরণ।
তারপর,
তারপর হঠাৎ একদিন কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া
হাজার বছরের পরিচিত অবয়ব।
আমি থমকে গেলাম
ভুল ভেবে পাশ কাটাবো ভাবতেই
আমার আত্মবিশ্বাসী চোখ তোমাকে চিনে নিলো এক পলকে।
অপেক্ষার প্রহর ফুরালো বুঝি!!
তোমাকে ডাকতেই ফিরে তাকালে,
অনেকটা বদলে গেছো, অনেক বদলে গেছে তোমার তুমি।
তোমাকে শোনালাম,
অপেক্ষায় থাকা এক বিশ্বাসী প্রেমিকের কথা,
আমাকে ভুল সময়ের গলপ শুনিয়ে উত্তর দিলে,
‘‘তোমার জন্য অপেক্ষার প্রহর তো সেই কবেই পেড়িয়েছে
অপ্রত্যাশিত প্রেম স্পর্শে,
তুমি তো সেই কবেই ফুরিয়ে গেছো আমার অপেক্ষা থেকে’’।

আশা ভঙ্গের অভিশাপ নিয়ে জেগে উঠলাম
অথচ এই তোমার অপেক্ষাতেই কিনা
সময়কে খরচ করেছি বেহিসেবির মতো!
তবে কি,
তোমার ভালোবাসার কথা,
তোমার অপেক্ষার কথা,
শুধুই কথার কথা?
নাকি অমোঘ নিয়তির নির্মম পরিহাস!!