আমি ভালো না বাসলেই,
তুমি সাইক্লোনের চেয়েও তীব্র গতিতে ফেরো আমার দিকে।
মধ্যরাতে তোমার বুকের পাঁজরে যে শূন্যতা,
সেও তখন আমাকে ঘিরে।
সুনীলের সব কবিতায় তুমি হয়ে ওঠো,
একান্তই আমার নীরা।
আয়নায় চোখ রেখে
যে দুটি চোখ খুঁজে পাও
ওতে আমাকে জড়িয়ে ভুল কাব্য রচনা করো।
বৃষ্টি শেষে মধ্যরাতের হিমেল হাওয়া
আমার স্পর্শ ভেবে
যত্ন করে মাখো বুকের ভাঁজে।
বেলী কিংবা কাঠোগোলাপ
তোমাকে আর শিহরণ দেয় না,
তোমাকে ভাবিয়ে যায়
আমার শরীরের পরিচিত গন্ধ।
অগোছালো ঘুমে তুমি হয়ে ওঠো নরম নদী,
আর আমাকে মাঝি করে
বৈঠা হাতে পারি দেওয়াও তোমার বুকের ঢেউ।
অথবা মধ্য দুপুরে তোমায় ছুঁয়ে যায়
এক পশলা কামিনী বৃষ্টি আর যুবক বাতাস!
যে চোখের প্রশ্রয়ে কেটেছে সময় অগুণতি অনায়াস,
সে চোখে আকাশের গায়ে নীল দেখে কাটাও।
ভালোবেসে আঁকড়ে ধরো বিলাসিতায়
হারিয়ে ফেলা বেপরোয়া সে যুবককে।
অকারণ অভিমানে ঠোঁট ফোলানো,
ভ্রুকুঞ্চনে আঁকা কপট রাগ,
গোধূলির পথে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িয়ে পাওয়া
সূর্যের কিছু রেণু,
ভুলে গেছে তোমাকে ছুঁয়ে অন্ধকার নামাতে।
তাই তুমি আমাকে খোঁজ!!
আমি ভালোবাসতে চাইলেই
তুমি হয়ে ওঠো অন্য যে কো নারী।