অভিমান ভালোবেসেছি,
তোমার মতো তোমার দেওয়া সুখগুলো প্রত্যাখ্যান করে,
অতঃপর মৃন্ময় চিবুক বেয়ে চোখে নেমেছে আঁধার।
জাদুকর অক্টোপাসের মতো,
নির্জন নিমগ্ন রাতে কষেছি একাকীত্বের হিসেব,
জয়ী হবার বাসনায় নিজেকে করেছি
আজীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী সেলের কসাই।
বিভ্রমে কেঁপে ওঠেছে শরীরে লুকানো অসুখ,
প্রতিবাদি হাতে বুক চিরে ,
লেলিয়ে দিয়েছি আহত যন্ত্রনা।
ভুলের জ্যামেতিক খেলায়
বিন্দু আর বৃত্তের ব্যবধান মিলিয়েছি শূন্যে।
আমার মতো তোমাকে করেছি যন্ত্রনা দগ্ধ।
অভিমান ভালোবেসেছি,
তারপর থেকে আমার নিজস্ব কোন আকাশ নেই।
জানালা দিয়ে যতদূর চোখ যায়,
তার সবটুকু জুরেই নিঃস্বীম শূন্যতা।
আমার নিজস্ব কোন রঙ নেই,
দু চোখ যা দেখে
তার সবটুকুই ধূসর বিবর্ণ।
অভিমান ভালোবেসে তুমিও
জয়ী হবার বাসনায় ছুটছো
স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ককেশীয় পবর্তমালা ।
তুমি অন্তঃদহন থেকে মুক্তি খুঁজছো প্রতিনিয়ত।
পুরাতন প্রেমিকের স্পর্শ তোমার যে শরীরে,
তুমি তার অবধারিত পচন কামনা করো।
কলোম্বাসের মতো পারি জমাও
নাম ঠিকানাহীন অজানা গন্তব্যে,
এখন তোমার একমাত্র নেশা সুখ খোঁজার।
তুমি চাও সুখ, সুখ এবং সুখ।
ভাবছি তোমার মতো হবো আমিও,
আজ থেকে আমার সমস্ত দুঃখকে
জীবন থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করলাম।
কষ্টকে দেবী পুঁজে কি লাভ!
কি লাভ জীর্ণ জীবনের কুন্ডুলী পাকিয়ে!
পুরাতন প্রেমের স্মৃতি,
গাঢ় ব্যর্থতা,
বুকের নিভৃতে দগ্ধ ক্ষত,
সব, সব আজ মুক্তি দিলাম।
অভিমান ভালোবেসেছি,
এখন অভিমানই আমার একমাত্র প্রেমিকা।