আধুনিক মনন ও মানসিকতার সাপেক্ষে নারীর স্বাতন্র মূল্য সম্পরকে মধুসূদনের যে নিজস্ব
জীবনবোধ গড়ে
উঠেছিল তাঁর সমরথন পুষ্ঠ নারী ছিল তাঁর কল্পনায়।
এই কল্পিত নারীর উদ্দেশ্যেই তিনি ফেরারি হয়েছেন,তন্ন
তন্ন করে খুঁজেছেন তাঁকে কাব্যে ও জীবনে।মধুসূদনের
কাংখিত এই নারী রেনেসাঁসের আদরশে প্রত্যায়িত যা
কেবল ঈসাবেলা,ক্যাটিরিনা কিংবা বিয়াঙ্কা মারিয়া ভিস্কনতির তুলনায় সমালোচিত হতে পারে।মধুসূদনের
এই সমালোচিত তথা প্রত্যায়িত নারী ঊনিশ শতকের
আদরশায়িত এবং বীরযবতী,কিন্তু তার বীরয সৌন্দ
রয্যবিহীন নয়।শক্তি ও সৌন্দরয্যের,ঐশরয ও মাধুর
যের একটি সমন্বয় ছিল তাঁর আকাংখা।তাঁরই নাম বীরাঙ্গণা। বীরাঙ্গণা কাব্যের কৈকেয়ী,শূরপনখা এবং তাঁরা মধুসূদনের আদরশ প্রভাবিত নারী চরিত্র।যেমন
বাল্মি কী বরণিত শূপরনখার বাঙ্গালিকরণ করে দেখায়
নারীসত্তার মহিমা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেছেন।সোমের প্রতি তারার প্রেমকে পরযবেক্ষণ
করেছেন আপন বলিষ্ঠতম মানসিকতার দরপণে-
'তূষেছ গুরুর মনঃ সুদক্ষিণা দানে
গুরুপত্নী চাহে ভিক্ষা দেহ ভিক্ষা তারে
দেহ ভিক্ষা-ছায়ারুপে থাকি তব সাথে
দিবানিশি।'(বীরাঙ্গণা কাব্য)
মধুসূদন প্রাণপণে স্বপ্ন দেখতেন নারীত্বের সারব
ভৌম সত্বার প্রতিষ্ঠার।নারী নারী হয়ে,নারী ব্যক্তি হয়ে তাঁর পরিপূরণ মরযাদা নিয়ে সমাজে বিচরণ
করবে-টিকে থাকবে নিজ যোগ্যতাবলে,কারো করুণা
বা দয়ার উপর নিরভর করে নয়।নারীর ভাগ্য সে নিজেই গড়ে নেবে,নিজেই নিজেই নিয়ন্ত্রন করবে এমন একটি ধারণা কিংবা বিশ্বাস মধুসূদন তাঁর মনের গভীনে লালন করেছিলেন।কিন্তু আষ্ঠে পিষ্ঠে
বাঁধা এই আটপৌ্রে জীবনের পদে পদে তাঁর বিশ্বাস
আহত হয়েছে,তাই পৌরাণিক নারী চরিত্রের রুপদান
এর মধ্যে তিনি আধুনিক যুগসমস্যা গুলো স্থাপন করেছিলেন।