ভারত বর্ষের ইতিহাসে নজরুল ইসলামের গভীর
ও তাৎপর্যপূর্ণ সংশ্লিষটতা ছিল।সভাবতই দুরন্ত, কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম যৌবনে বৃটিশ ভারতীয়
সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে পারস্যে যান।এরপর দেশে
ফিরে তিনি যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে পারস্যে যান । এরপর দেশে ফিরে তিনি যোগ
দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে । নির্ভীক-
নজরুল দেশ ও জাতির স্বাধিকারের প্রশ্নে ছিলেন অনমনীয়।তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি।তার বিদ্রোহ দেশের রাজনৈতিক ও স্বাধীনতা
হরণকারীদের বিরুদ্ধেই নয়,
বরং তাঁর বিদ্রোহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের
বিরুদ্ধেই । ১৯২২ সালে নজরুলের সম্পাদনায় প্রকাশিত
হয় পত্রিকা "ধূমকেতু"। এটি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রচারে বিশিষট ভূমিকা পালন করেছিল।বিদেশী শাসক
দের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করার জন্য ডাক দিয়েছিল
"ধুমকেতু" পত্রিকা এবং দাবী করেছিল পূরনো সবাধী
নতা।"সরব প্রথম 'ধুমকেতু'ভারতের পূরণো সবাধীন্তা
চায়।সবরাজ টরাজ বুঝিনা,ও কথাটার মানে এক এক
মহারথী এক এক রকম করে থাকেন।ভারত বরষের এক পরমাণু অংশও বিদেশীর অধিকারে থাকবে না।
বিদেশির মোড়লী করার অধিকারটুকু পরযন্ত টুকু
থাকবে না।যাঁরা এখন রাজা বা শাসক হয়ে এদেশে
মোড়লী করে দেশকে শ্মশান ভূমিতে পরিণত করেছেন,তাঁদের পাততাড়ী গুটিয়ে বোঁচকা-পুটুলি বেঁধে সাগর পারে পাড়ী দিতে হবে"। .........
কাজী নজরুল ইসলামের নেতৃওে ১৯২৫ সালের শেষ দিকে কলকাতায় একটি পারটি গঠিত হয়।এ পারটির নাম ছিল "মজুর সবরাজ পারটি"।এই পারটির মুখপত্র ছিল "লাংগল" পত্রিকা। এ পত্রিকার প্রধান ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।তাঁর এই সবাধীন রাজনৈ্তিক চেতনা বাংলাদেশের সবাধীকার ও সবাধীনতা আনদোলনের সংগ্রামে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল।বাংলাদেশে পাকিস্তানী শাসকদের শোষণের প্রতিবাদ আনদোলনে বিভিণ্ণ পরযায়ে নজরুলের অনেক গান ও কবিতা উদ্দীপনা জুগিয়েছে।সবাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হয়েছে নজরুলের এ সব গান-
চল চল চল,
উরধ গগনে বাজে মাদল,
...................
চলরে চলরে চল।
"মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম"
" আমরা শক্তি আমরা বল-
"এই শিকল পরা ছল মোদের এই শিকল পরা ছল" বিদ্রোহী গান গুলি ।