প্রত্যেক মানুষই একজন সাহিত্যিক কিন্তু কবি নন ।
সাহিত্যিক হতে পারেন সাহিত্য করম দিয়ে;কবি হন
কাব্য বা কবিতা লিখে । মানুষের করমই সাহিত্যের উপজীব্য বিষয় । মানব জীবনের সুখ,দুঃখ,হাসি,কাঁন্না-
বিজড়িত কাহিনী লিপি বদ্ধকরে রচিত হয় সাহিত্য ।
সাহিত্যিকের জীবন দর্শণ দিয়ে উপন্যাসিক,গল্পকার,
প্রবন্ধকার নিজের মত করে সৃ্স্টি করেন সাহিত্যের বিচিত্র শাখা । কিন্তু কবি ? কবি তাঁর মনের মাধুরী
মিশিয়ে কালির তুলিতে নিপুন ছোঁয়ায় ছন্দে-বন্দে যে রচনা কথা গাঁথএ হয় সেটি কবিতার ভাষা । কবিতা ভাবের সাগর;কবিতার ভাব আনে ভাবের মহা সাগর ।
জ্ঞানের মাঝে কাব্যের সাগর সৃস্টি করতে হলে
তন্ময় মন্ময় দু'য়ের গুণ থাকা আবশ্যক । কারও মনে
এ দু'য়ের যখন যোগ হয় তখন তাকে ভাবের বাণীকে
লিপি বদ্ধ করতে দরকার হয় কাগজ কলমের ।মনে
কাব্য ভাব উদয় হওয়ার সাথে সাথে সেটিকে কবিতার-
খাতায় বেধে ফেলতে হয় । নইলে, কিছু সময় পরে
সেটাকে মনের পাতায় আর খুঁজে পাওয়া যায়না ,বা
কবিতা লেখার পরে সেটি স্মরণে রাখা
যায়না । তাই ভাবটাকে কথার মালায় গেঁথে ফেলতে
হয় । আমি আমার কথাই বলি, আমি যখন কাব্য-
রাণীকে যখন মনের পাতায় পেতে চেয়েছি, তখন মন্ময়-
-তন্ময় যোগ করে কাছে টেনেছি । তারপর কবিতার
ছন্দে চরণ দু'টি গেঁথে ফেলেছি । সময় পেলে পরে
সেটি ভাবের সাগরে কথার মালায় সমাপ্তি করেছি
।শেষ অবদি পূ্রনতা এনে দিয়েছে কাব্য রাণী । কবি যখন নিরজনে কাব্য রাণীর সাথে কথা বলে,কাব্য-রাণী তার সংগ দেয়, যতক্ষন সে
তাকে কামনা করে । আজ নিজের কথাই বলি,
কিশোর বয়সে যখন কবিতা লিখতে শুরু করি তখন
আমার লেখা কবিতা পড়ে গুরুজনরা আমাকে
প্রেরণা দিতেন প্রাণ ভ'রে দোয়া করতেন ।তাঁদের
প্রেরনায় আমি আজ এত দূ্র আসতে সক্ষম হয়েছি।
চলার পথে শিক্ষকতা জীবনে আমার ক্ষুদ্র প্রতিভাকে
শিক্ষারথি দের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে কবিতা ভূ্বনে
প্রবেশের জন্যে প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করেছি। যার
ফল্শ্রুতিতে শিক্ষারথীরা অনেকেই ছড়া,কবিতা
লিখছে আজ । তারা তাদের লেখা আমাকে দিয়ে
সংশোধনও করিয়ে নিয়েছে অনেকে । আবার কার কার লেখার সংশোধনের প্রয়োজন হয়নি বলতে হবে।
তারা এখন তুখোড়ে লিখছে ।ওদের লেখা পড়ে
আমার মনে হয়েছে, আমার থেকেও লেখায় ওদের
সুন্দর হাত ।এ ভাবে তাদের লিখতে সহযোগিতা
করেছি ; পরামরশ দিয়েছি ।-
লেখ লেখ যত পার লেখ,
লেখার মাঝ দিয়ে-
কবিতা লেখা শেখ । আজকের আলোচনা এই
পরযন্ত । আগামিতে আবার কথা হবে ।