কবি এবং কবিতা এক সূ্ত্রে গাঁথা। কবির সুন্দর কবিতা
সুন্দর মনের পরিচায়ক।কিন্তু কি ভাবে,সে কথাটি বলতে-
এ কথাটি বলা। শুনলে বুঝতে পারবেন। ২০০৪
সালে আমি বাংলা বিষয়ের উপর ট্রেনিং-এ গিয়েছিলাম
উঁচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট,খুলনাতে।
আমাদের ব্যাচটি হল চার নম্বর ব্যাচ।বাংলা এবং গনিত বিষয়ে। আমি বাংলা সাবজেক্টএর টিচার।যশোর,
খুলনা,কুস্টিয়া,মেহের পুর এবং সাতক্ষীরা জেলার ৩২
টা শিক্ষা প্রতিস্থানের মোট ৬৪ জন প্রশিক্ষণারথী এসেছেন প্রশিক্ষণে।সারা দিন প্রশিক্ষণ শেষে রাতে শো-
বার আগে কবিতা লেখা স্বভাবগত নেশা। এটা বলতে
গেলে প্রশিক্ষণে আসা সবাই জেনে গেছে। তাইপ্রশিক্ষক
স্যারেরা জেনেও ফেলেছেন।ট্রেনিং শেষ প্রায়। ২২ তারিখে স্মরণীকা স্মৃতি প্রকাশের জন্য আলোচনা হল।
সভায় বাংলা এবং গণিত বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা সম্পাদনা পরিষদ করা হল। আমাকে বাংলা
বিভাগের সম্পাদনা করার জন্যে আহ্বায়ক করা হল।
নূ্র মোহাম্মদ,মোঃ আঃ হাকিম,কমলাক্ষ নাথ বৈদ্য
এবং পারভীন সুলতানা কে করা হল সদস্য। আমার
সদস্যবৃ্ন্দ আমাকে দায়িত্ব দিলেন সবাইকে নিয়ে একটি কবিতা লিখতে।গণিত বিভাগের দায়িত্ব পেলেন দেব রঞ্জন মন্ডল। সেদিন রাতেকবিতা লিখি,পরের-
দিন সবাইকে শোনাই। ছাপতে পাঠাই প্রেসে।
কবিতাটির নাম দেই -আমরা যাঁরা-
এইচএসটিটিআই প্রশিক্ষণে,বাংলায় মোরা যাঁরা,
নিরবাচিত শব্দ গুঁচ্ছে, লুকিয়ে আছেন তাঁরা ।
কলারোয়ার আলি বকস, লক্ষন পুরের নূর,
রাহাত আলি সাতার পাড়া, শিবু গোপাল পুর।
নিছার আলি হেলাতলা, চাঁদ পুর ওমর আলি,
সারসার সালাম গফফার,ছালেক পাশা-পাশি।
আঞ্জুমান আর মাহবুল, দৌলত পুরে ধাম,
আছেন এক মাতৃসম, জিনাতুন্নেছা নাম।
অমল কৃষ্ণ ফকরাবাদ-আর মাহফিজুল ভাই,
কবিবার রহমান কলারোয়া, আমানুল্লা ও তাই।
বেতবাড়িয়ার তরিকুল ভাই, সিরাজুল সোনাবাড়িয়া,
দারুনমল্লিকের কমলাক্ষ বাবু, সামসুল কুস্টিয়া ।
প্রশান্তবাবু গড়াইখালি, পাইকগাছা অমলরায়,
হিজলদিরভাইআব্দুলআজিজ,শুনুনকবিতায়।
ভাটপাড়ার আব্দুর রউফ, নানা জানি যাঁকে,
পারভী্ন কাকবাসিয়ারনানা,নাতনী বলে ডাকে ।
তারক চন্দ্র ধামরাইল আর গাংনীর মইনুল,
সারসার ভাইআব্দুল হাকিম চিনতে হয়নি ভুল।
সুলতানা রাজিয়া গোয়াল গ্রাম শাহনূর নিজাম পুর,
এসেছি হেথা আমরা ওহে স্বজন অনেক দূ্র ।
আবু ছাদেক চাপড়া আর আসাদুল কলারোয়া,
আবার এসে ছন্দ আমি চাইছি সবার দোয়া ।