বরাবরের মত সেদিনও চলেছি যশোরে পত্রিকা অফিসে।দৈনিক কল্যান অফিসে শ্রদ্ধেয় হোসেন উদ্দিন হোসেন কাকা আমার জনা অপেক্ষা করছেন। পান্ডুলিপির কপি নিয়েছি সাথে।সাহিত্য এবং সংবাদের পাতায় তখন তুখোড়ে লিখছি।মাসে আঁঠার-ঊনিশ দিন গল্প,ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, রিপোরট কিংবা উপসম্পাদকীয়তে লেখা থাকত। কিন্তু কপাল মন্দ আজ তাই-
বাসে কোন শিট পেলাম না। অগত্যা দাঁড়িয়েই রইলাম।
বাস চলছে ধীর গতিতে।কিছু দূর যেতে সহসা চালকের সামনের আয়নায় চোখ পড়তেই চক্ষু চড়ক গাছ ! চালকের পিঁছনের শিটে বসে দু' তরুণী। তরুণী ঠিক-
বলা যায় না;সুন্দরী রমনী বলাই শ্রেয়। আমি অপলক নেত্রে দেখতে লাগলাম,সুন্দরীরা আয়নায় চালকের সাথে চোখ ইশারায় কথা বলছে।হতবাক হয়ে গেলাম।চালক গাড়ী চালানোর ফাঁকে ফাঁকে আয়নার উপর-
চোখ মেরে মেরে মুচকি হাঁসছে।ইত্যবসরে বাসটি যশোর-
চাঁচড়া চেক পোসটএ সট্যান্ড করেছে। সময় লেগেছে
প্রায় ঘনটা খানেক।বাস থেকে নেমে এলাম।মনটা বড় বিষন্ন! ততক্ষণে মনের কোণে কবিতা ও ছোট
গল্পের ভীড় জমেছে। পত্রিকা অফিসে পৌঁছে দেখি
হো্সেন উদ্দীন হো্সেন কাকা বসে, অন্যদের সঙ্গে সাহিত্যের আসর পেতেছেন ।তাঁকে বিষয়টি সম্পরকে কিছুই বলতে পারলাম না।সন্ধ্যার আগেই
বাসায় ফিরে কলম নিলাম এবং লিখলাম 'আয়নায়
প্রেম' ছোট গল্প ও একটি কবিতা। তবে আজো ভুলতে পারিনি সে দিনের সেই দৃশ্যটা, কোন দিনই হয়তবা-
পারবনা ভুলতে !