নৌকার গলুইয়ে শায়িত দেহটা নিস্তেজ
টানটান উত্তেজিত পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সবকটি,
লঞ্চের মাস্তুল-ছোড়া ধোঁয়া দিগন্তে বিস্তৃত
দু’আঙুলের ফাঁকে ধরা বুদ্ধির ধোঁয়াসদৃশ,
দূর আকাশে ডানামেলে ভাসছে শান্ত চিল
নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে বৈঠার কলকল শব্দমিল।
রক্তমাখা চোখ একটুও জ্বালা করছে না,
ওপারে কাশফুলের সুশোভিত শুভ্রতায়
তোমার কোমল মুখখানি ভাসছে হেথায়,
রুধিরে ক্যানাবিসের সুতীব্র অনাসৃষ্টি
প্রলয় নাচনে স্থির হতে পারছে না দৃষ্টি
ঢেউয়ের মত তুমি আস থেকে থেকে।
প্রসারিত দু’হাত পাখার মত উড়িয়ে দেই
চিৎ সাঁতারে ভেসে মেঘের রাজ্যে সহসাই,
কর্ণকুহরে বৃদ্ধ মাঝির খক খক কর্কশ কাশি
সাথে স্নায়ু আবেশ করা উদাসী সুরের বাঁশি,
আর নববর্ষার জলের মতন ভেসে আসা
রাশি রাশি উপচে পড়া অজস্র স্মৃতি।
অচল দেহটাকে শান্ত পানিতে ভাসিয়ে রাখি,
তুমি কথা বলছ ঠোঁট নেড়ে প্রকৃতির ছন্দে
শুনতে পারছি না তা, নির্বাক ছবির দ্বন্দে,
আত্মসমর্পন তাই নিঝুম শূন্যতার কাছে
রঙিন স্বপ্নগুলো সগর্বে ফিরে ফিরে আসে,
ভালবাসাই সব, যুক্তিহীন চিত্রনাট্য।