বোধের আদর্শলিপি থেকেই মত্ত তোমার প্রেমে
ততটাই যেন নির্দিধায় পেয়ালাভর্তি গরলে চুমুক,
হে প্রভু, তুমিই এলাজদাতা, আনন্দ আশ্রমে
তোমার অতলে হারিয়ে, তাই নাচি ভক্তিপ্রেমে।

মার্তণ্ড দিগন্তের আশ্রয়ে, রেখে শেষ দিপ্তীটুকু
তেমনি সঁপেছি, দেহমনের অন্তিম বিন্দুটুকুও,
পাপী আমি, ভুলে যাই তোমাকে, জগতনামে
তোমার অতলে হারিয়ে, তাই নাচি ভক্তিপ্রেমে।

পথছাড়া করোনা প্রভু, সত্যপ্রেমের ধরা ছেড়ে
সুতীব্র বহমান তরনী, ধরব কীভাবে তাহলে?
বোকা আমি মিলেছি, সেই মাঝিদের জপনামে
তোমার অতলে হারিয়ে, তাই নাচি ভক্তিপ্রেমে।

কিবলামুখী দাঁড়াই দৃঢ়ে, চিত্তে প্রেম কাবার ’পরে
সেথা শুভ্রময়ূরীর কেকা-স্বর, প্রেমের দুয়ার খুলে,
স্বর্গীয় প্রেম মূর্ত সহসাই, প্রভুর অসীম দয়ানামে
তোমার অতলে হারিয়ে, তাই নাচি ভক্তিপ্রেমে।

বুল্লেহ শাহ হাতজোড়ে, দয়াভিক্ষা মন্দির-দুয়ারে
আবৃত লাল-সবুজের আলোয়ানে, সতত-আসামী
দেহবেড়ি-ধৃত অবনত শির, পলাতক ছিল ভ্রমে
তোমার অতলে হারিয়ে, তাই নাচি ভক্তিপ্রেমে।
(অনুবাদ)