কামনা ছিল দেহে,
ছিল অনন্ত বাসনাও-
নরম বিছানায় আধশোয়া আমি
প্রোগ্রেসিভ লেন্সের তলার দিক দিয়ে
পড়ছি মেঘদূত হৃদয় উজাড় করে।
নাহ! হতাশা গ্রাস করে ফেলেছে
এখন সে বাসনা আর নেই।
ইচ্ছে করে না আর-
শুভ্র বরফে করি দাপাদাপি
বাদামী খটখটে ঘাসে নরম পা ছোঁয়ানো
শরৎের ঝরা পাতায় মচমচ
বসন্তের উঁকি দেয়া সবুজে চোখ মেলি,
আমি আসলে হতাশাগ্রস্থ মানব।
তীব্র হতাশার চাদরে আবৃত হয়ে গেছি
ইচ্ছেগুলোও কারাবন্দী।
ইচ্ছেরা করে না কাকুতি-
হাইওয়ে থেকে ছিটকে কংকরকণা
অকস্মাৎ চুমু খায় ফোর্ডের উইনশিল্ডে
ইচ্ছেরা তখনও নির্বিকার, নিস্পৃহ।
ডাবল চিজের বিগ ম্যাক গলায় ঢালছি
মিডিয়াম ডাবল ডাবল টিম হর্টন্স দাঁতের নীচে
পেট্রো-কানাডায় গ্যাস দেড় ডলার ছুঁই ছুঁই
কোন ভাবনা নেই। হতাশ আমি-
ইচ্ছেরা স্থবির, কোয়ালার মত।
আমিতো ভিন্নই চেয়েছিলাম-
চোখের জলের রঙ আঁকব
সুখের শিখরে নাচব ভরত নট্যম।
আমি ফুলেদের সাথে গান করব
পাখিদের ঠোঁটে চুমু খেয়ে বলব কথা
মাছেদের আঁশের গন্ধের পারফিউম হবো
বাতাসের সাথে বসে টুয়েন্টি নাইন খেলব
রৌদ্রের কাঁধে হাত রেখে বকব মেঘেদের
বৃষ্টির অধরে চুমু দিয়ে সরিয়ে দেব এলোচুল।
কিছুই অবশেষ নেই আর-
কেবলই হতাশা, পুঞ্জাক্ষী-সম হতাশা।