স্ত্রীর ঠাসবুনানি পশমী উত্তরীয় গায়ে পেঁচিয়ে
ডান পা’টা আলগোছে চেয়ারে ফেলে
নিবিষ্টে চেয়ে থাকি এলইডি স্ক্রীনের পিক্সেলে।
মিনিট-সেকেন্ডের খেরুয়া-মোড়া খাতা না;
ঘন্টাও কল্কে পায় না। দিন-মাস-বছর
ঐ একই চেয়ার, টেবিলের নির্দিষ্ট কোণ।
মনের গহিনে কোথাও যেন বাজে প্রতিবাদ
কী হবে বস্তু-দুনিয়ার ভোগ-কামে মগ্ন থেকে?
অন্তরে বৈরাগ্য এসেছে!
সর্বশেষ কপর্দখানি বিলিয়ে অতি গোপনে,
ইচ্ছে-ঘুড়ি উড়িয়ে পথে নামব নিঃস্ব-রিক্ত আমি-
উত্তরে আর্কটিক বা দক্ষিণে বিষুবরেখা অবধি।
ছন্দ রচিতে জানিনা, কণ্ঠে বেসুরো দ্যোতনা
কী হবে অনন্ত সে চলন-পাথেয়?
তার চেয়ে ভাল, পায়ের তলার নিশ্চুপ গুহায়
ধ্যানমগ্ন হয়ে স্বপ্ন স্বপ্ন খেলি।
দৃঢ়-সংকল্প সাধনা - ষড়রিপুর উর্ধ্বে পদচারণা
ইন্দ্রিয়-স্নায়ুকে বশে এনে সম্পূর্ণ-
অন্তরাত্মার সাথে খেলিব নাতিদীর্ঘ সাপলুডু।
এরপর, মন-চালিত আমি; মস্তিস্ক আগাছা
পার্থিব-দুনিয়া বাঁধা হবে না।
সব ছেড়েছুঁড়ে - অন্ধকার গায়ে মেখে;
জ্যোৎস্নায় হুটোপুটি খেলে;
রৌদ্রুরে দীর্ঘ স্নান সেরে;
রুমীর ’মসনবী’ তাসবিহ বানিয়ে;
রকির পবিত্র শুভ্রতায় মেলে তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি
খুঁজব অচেনা আত্মার আমিকে।