অজ পাড়া গাঁয়ে কৃষকের এক ছেলে
মা-বাবা বুকভরা স্বপ্ন দেখেছিল
পড়াশোনা করে ভালো মানুষ হবে
নিজেকে বিলিয়ে দিবে মানবের তরে,
আনন্দে তাদের মুখ উজ্জ্বল হবে
গর্বিত ছেলের হাজারো প্রশংসায়।
মহাজনের অল্প ভুতল বর্গা নিয়ে
কৃষক মা-বাবা ফসল ফলায় মাঠে
খেয়ে না খেয়ে দিতে হয় যেটুকু থাকে।
তাদের ছেলে স্বপ্নে চেয়ে বড় হবে
কৃষকের কষ্ট মুছে দেবে এক দিন
বুক ফুলিয়ে ছেলের গল্প শুনায় মাঠে।
ছেলে পড়াশোনা বৃত্তি গেলেন হাটে
ফিরার সম্মুখে সাঁঝ এলো নেমে,
তিমিরে কাহার সঙ্গে প্রহারে যায়?
ভোর বেলা দেখি বন্দী আছি গৃহে।
কৃষক মা-বাবা হারিকেন নিয়ে হাতে
চৌরাস্তায় রাত্রি পোহায় বালকের সন্ধানে,
চোখের জলে মুছতে মুছতে নেতার ধারে
তিনি ছেলের সন্দেশ দিতে নাহি পারে।
বুকের মানিক বাচ্চা ধন গেলো কোথায়?
অবুঝ মা-বাবা মনকে কি করে বুঝায়,
যেদিক দুচোখ যায় ছেলের দেখা নেই
ছেলে যে আছে দারোগার বন্দী চালায়।
ছেলের শোকে আগুন জ্বালায়নি চুলায়
ছেলের স্বর আলয়ে কি করে নিদ্রা যায়?
প্রভাতে সমাচার আসে অস্ত্র কলহে ছেলে
দেহনাশ হয়ে পড়ে আছে ফসলের প্রান্তে।
কৃষক মা-বাবা ছেলের যন্ত্রণায় বলে
তোর স্বচ্ছন্দ্যে ফসল ফলায় মাঠে
শস্য মত ছেলের লাশ আনতে যাচ্ছি মাঠে।
কৃষক মা-বাবার গুণবান বেটা ছেলেকে
কেড়ে নিল যত ভ্রান্ত বদনাম দিয়ে
তাদের স্বপ্ন ভেগে গেছে ফসলের মাঠে।
শুনেনি হাজারো ভাই-বোনের আর্তনাদ
পুলিশ নামের হাইওয়ান সেই জানোয়ার
কৃষক মা-বাবার স্বপ্ন করছে চুরমার।