গোবিন্দপুর গ্রামের পুরোনো বটগাছের নিচে যে প্রকাণ্ড দীঘি
সেই দীঘির পাশ্বে শৈশবে অনেক খেলেছি রান্না-বাটি,
বড় হয়ে যখন তোমার শহরে আসলাম উঁচু উঁচু বিল্ডিং-
দাদির গল্পের সেই দৈত্যের মতো লাগছিলো।
ফাগুনের ঝড়ে, যখন তোমায় আগুন রাঙা শাড়িতে দেখলাম,
গোবিন্দপুরের সেই দীঘির মতো চোখে, আমি তাকাই নি।
তবে বেশ অনেকদিন পড়ে তোমার কাজল কালো চোখ-দেখে মনে হয়েছিলো প্রকান্ড একটা দীঘি।
যে দীঘির গভীরতা বুকে কম্পন তৈরি করে
তবুও ডুব সাঁতারে দীঘির জলে শান্তি চাই।
আমি তো শুধু সাঁতার কাটতে নেমেছিলাম
এভাবে ডুবিয়ে দেবে কখনোই ভাবি নাই।
হ্যাঁ আমি অনেক কিছুই ভাবি নাই, তবুও ভাবতে হচ্ছে।
তুমি জানো একটা মানুষ কি নিদারুণ দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে বেঁচে আছে, মরে যাবার জন্যে?
তুমি জানো যে গোলির মোড়ে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিলো
সেখানে এখনো তোমার সুবাস বাতাসে ভাসে?
তুমি জানো না, কিছুই জানো না-
কতটুকু ভালোবাসলে এভাবে বেঁচে থাকা যায় -
কতটুকু কষ্ট পেলে নিজের শরীর থেকে আত্মা খসে যায়,
কতশত রাত স্মৃতিগন্ধ্যায় অবলীলায় ভেজা স্বপ্নে ভেসে যায়।
তুমি জানবেও না, বলাও হবে না কোনোদিন তোমাকে,
আচ্ছা, তুমি এখন কেমন আছো? কোথায় আছো?
তোমার কি আজো মনে পড়ে আমাকে?