আজ আমার ভীষণ মন খারাপ
সকাল থেকে হঠাৎ করেই,
কি কারণে ঠিক মন খারাপ করলো জানি না,
হয়তো গত রাতের মারউনের কবিতার জন্যে
কিংবা যখন জানলাম বেটহোফেনের বধিরতা সম্পর্কে।
আমার দেয়া তোমার যে ডাক নামটা ছিলো,
সেই নামে কি এখন তোমায় কেউ ডাকে?
মেমসাহেব, মেমসাহেব বলে -
এখন কি কেউ তোমায় দেখার বায়না করে?
বিরক্ত হও অকারণে সময় চাইলে?
ঘুম থেকে উঠে কল করো কাকে?
সন্ধ্যায় কি ঐ যুবকের সাথে বলো কথা?
তোমার ও কি মন খারাপ হয়? বুকে লাগে ব্যথা?
মেমসাহেব জানো? দুপুর হতে চললো,
মন তো ভালো নেই, উদাস দুপুরে মন কি ভালো থাকে আদোও?
সেই কবে কত শতাব্দী আগে একবার মন ভালো ছিলো,
তখন তুমি, আমি আর আমাদের ভবিষ্যত সাথে ছিলো
সেদিন দুটো শালিক ছিলো ডালে অশ্বত্থের,
নদীতে ছিলো জোয়ার, আকাশ ছিলো শরতের,
এরপর হঠাৎ একদিন বিচ্ছেদ নামক শব্দ অভিধান থেকে আমার হৃদয়ে এলো,
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের মতো বিচ্ছেদের অনল গ্রহণ করলো আমাকে-
মন খারাপের দাবানলে ধ্বংস হয়ে গেলো সভ্যতা,
অতীত এসে ধরা দিলো ভাবিষ্যতের আঁধারে
অশ্বত্থের জোরা শালিক একা হয়ে গেলো
নদীর জলে বিষাদ ভেসে গেলো
সমুদ্রে এলো ঢেউ, এলো নীল বেদনা
শরতের আকাশ হয়ে গেলো মেঘলা।
জানো? সেদিন থেকেই আমার মন খারাপ
মন ভালো নেই, ভীষণ রকম মন খারাপ
নতুন কিছু না, তবে আজ সকাল থেকে তোমায় পড়ছে মনে
তাই তোমার জন্য লিখছি কবিতা লিখছি দুঃখ
ডায়েরির পাতা শহরের পিচঢালা পথে পরে থাকে
ছেঁড়া পাতা দলে যায় বিষন্নতা একাকীত্ব,
হায়! আজ মন খারাপের দুপুরে
হারিয়ে যাওয়া মেমসাহেব যদি থাকতো।