তুমি খোপা খুলে দেও, আছড়ে পড়ুক স্নিগ্ধময় ঊষসী-
আমি আবার নরকের বৃষ্টিতে ভিজতে চাই,
খানিকক্ষণ নিরাপত্তার খোঁজে মায়ের পেটে ভ্রুণ হয়ে বাঁচতে চাই।
ধুলো আর মিথ্যায় আবদ্ধ এই পৃথিবী, আমায় বেহেশতের কথা বলে,
হাবিয়া আমার গন্তব্য আমি তো নরকের কাণ্ডারী।
তোমরা আমায় ভালোবাসা দাও কেন? যন্ত্রণা দাও,
বেদনা, বিষাদ আর মন খারাপের সাথে আমার বন্ধুত্ব-
এতো সুখ আমার সহ্য হয় না,
আমায় তোমরা দুঃখ দাও।
বরং তুমি ভেজা চোখে কাজলের সাথে খেলা করো-
যেভাবে ওরা আমার মন নিয়ে খেলে,
সাপ লুডুর মতো আমার ভাগ্য নিয়ে নির্মম সেই খেলা, আমি আবার খেলতে চাই।
সেগুনকাঠের জানালার ও পাশে আকাশ কি এখনো নীল?
এখনো কি মাতাল ফড়িং আর শালিকেরা ওরে?
এখনো কি কিশোরেরা প্রেমে পড়ে ভালোবাসে?
একদিন আকাশ কালো হয়ে যাবে,
ফড়িং আর শলিকের মৃতদেহে ঢেকে যাবে তোমার শহর,
কিশোরেরা প্রেম করবে না,
নর্তকীর বুকে পড়ে নেবে ভালোবাসার ফাঁসি!
সেদিন আমি আসবো, ভালবাসবো, প্রেমে পড়বো, পেয়োটি ক্যাকটাসের এককাপ ধোয়া ওঠা চায়ে আমি বুদ হয়ে আছি।