আকাশেরো কি মন খারাপ? অমন করে কাঁদছে কেন?
সন্ধ্যা থেকে রাত হলো তাও আঁখিজলে মরছে যেন।
বোধহয় হবে মন খারাপ, কি আসে যায় তাতে!
বৃষ্টি হলে ভালোই লাগে ছোট্ট এই ঘরটাতে
গুড়গুড় মেঘের ভয়াতুর গর্জন-
হৃদপিণ্ডের গতি বাড়িয়ে দেয়,
চিলেকোঠার ওপরে ভেজা শালিক-
তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়,
মনে করায় সেই সন্ধ্যা গুলো, বৃষ্টি সন্ধ্যা আর তুমি,
কানে বৃষ্টি তে ভেজা ঝুমকার পানি
কপালের টিপ আর ভেজা শাড়ী,
হ্যা আমি জানি, সব জানি
ঐ ঝুমকতে বারিবিন্দু যেন আবে হায়াতের পানি
পিপাসিত হৃদয় সাহারার মরুভূমি।
জানলা দড়জা সব খুলে বসে আমি
শহরের ভেজা রাস্তার পাশ্বে
বৈদ্যুতিক খাম্বায় ঝোলানো কালো তারে
চাঁদের মতো রূপালী বৃষ্টি র ফোঁটা
মনে করায় তোমার দেয়া ব্যথা।
পুরোনো ক্ষত যেভাবে নতুন করে আসে ফিরে
কিংবা পুরোনো অসুখের সেই তীব্র যন্ত্রণা,
সেভাবেই তোমার স্মৃতি নিয়ে আসে হিমেল বাতাস।
জানালার পাশ্বে বৈদ্যুতিক তারের দিকে তাকিয়ে
উদাসীন চাহুনীর এক পর্যায়ে, আমার পুরো শরীর
নিমেষেই ভিজে যায় এক ঝাপটা সলিলে।
আমারো তো মন খারাপ,
পারছি না তবু আকাশের মতো কাঁদতে,
কি আসে যায় তাতে
তুমি তো খুব ভালোই আছো, অন্য কারো সাথে।