শেষ বার যখন মৃত্যু ডেকেছিলো
দু'হাত জোড়ে বাঁচতে চেয়েছি
অভাবের সংসারে মৃত্যু
পরবর্তী কার্যকম কিভাবে বইবে পরিবার
তাই ভেবে বেঁচে গিয়েছি।
বেঁচে থাকা বড় আনন্দের
ভালোর মাঝে বেশিটা জুড়ে মন্দের
মিছিল থেকে পালিয়ে এসেছি
সেও অনেক দিন আগে
মা বলেছিলো ফেরার পথে চাল নিয়ে আসিস।
সে দিন থেকে বিপ্লবীদের লিষ্ট থেকে
নাম মুছে দিয়ে যুদ্ধে নেমেছি।
এ যুদ্ধ জীবন নবায়নের যুদ্ধ
ভূখা থেকে জীবনযুদ্ধ ছাড়া
কোন যুদ্ধই যুদ্ধনয়
যেন এক নাটুকে অভিনয়।
সন্ধ্যাদীপ জ্বেলে প্রেমিকা বলেছিলো
দীপের মতো তুমিও জ্বলজ্বলিয়ে হেঁসে উঠবে
সেদিন বেশি দূরে নয়,
আমি দু'চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম
সেই স্বপ্নঘোর খুব তাড়াতাড়ি মিটে গিয়ে
অমাবস্যাতিথি এলো ভেঙ্গে পরলাম।
উলুধ্বনি আলতা সিঁদুর পড়ে ভাদ্রবধূ সেজে
প্রেমিকা হাঁসি মুখে পিঁড়িতে বসে আছে
আমি ভূখা তার অপরূপ মুখের দিকে তাকিয়ে
গোগ্রাসে উদরপূর্তি করে সিগারেটে সুখটান
দিতে দিতে মনে হয়েছিলো খাবারের শেষে
বোরহানি না থাকায় স্বাদটা পূর্নতা পায় নি।
প্রেমিকের লম্বা লিষ্টে আমার জায়গা হলোনা
জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা যায়
মনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা যায় না।
মন থেকে ঘুণপোকা সারা শরীর
জোড়ে ছড়িয়ে পরে, সরকারী হাসপাতালের
রুক্ষপ্রকৃতির নার্স দিনে দু'বার ইঞ্জেকশন
দিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে হেঁটে যায়
আমার জনম দুঃখিনী মা
আঁচলে চোখ মুছেন কপালের সিঁদুর
সযত্নে আগলে রেখে হাহাকার করেন
আমার বড্ড ইচ্ছে হয় বাবার মুখ দেখি
উনত্রিশ বছর হয় বাবার মুখ দেখিনা।
____ভূখা
২৪-০৬-১৭