সে যখন তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো
ভালবাসার বিস্ফোরণে কম্পিত হল আকাশ
ঝড়ের কবলে ঝাউগাছ নুয়ে করলো আড়াল
জানালায় জোড়া চোখ এখন
নোনা পানিতে ভরপুর দিঘি।
ভাগ্যিস অবেলায় সূর্য ওঠে না
চোখে চোখ পড়লে কি লজ্জার হতো
ভাবতে প্রতি মূহুর্তেই বুঝি নজর রাখি
বাস্তবিক স্বপ্ন দেখা সবার সাজে না।
চমকে দিতে এসে নিজেই চমকে গেছি
মাথা ব্যথার অযুহাত কখনো বুঝতেই পারিনি
কত বোকা আমি, তাইনা?
স্বামী হিসেবে একদম মানান সই।
শখ করে গান শুনাতে বলতাম
কিন্নর কণ্ঠে বিচ্ছেদ সুর হাহাকার জাগানিয়া
তোলপার করা টান যেন সমুদ্রের গর্জন
দু'জনে কত যত্নে কাঁদতাম।
দিয়াশলাই কাঠি জ্বলে আঙুল ছোঁয়েছে
ভালবাসার দহনে যে পুড়ছে
আগুনে কি আর পোড়াবে বল?
নদী ঘর ভাঙ্গে নদীই গড়ে চরাচর
সংসার নদী নয় সংসার আয়না
ভেঙ্গে গেলে জোড়া লাগানো যায়
জোড়া লাগানো প্রতিচ্ছবি দেখা বড় কষ্টদায়ক
পাশে শুয়ে আছো, পাশেই শুয়ে আছো?
কোন প্রশ্ন ছিলো না কখনো তোমার প্রতি
আজ প্রশ্নের বান ডেকেছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে জর্জরিত করতে ইচ্ছে করছে তবু বিকারহীন
ভালবাসায় প্রশ্ন থাকতে নেই সন্দেহ থাকতে নেই।
মেঘলা'র পৃথিবী সেরা মা  
প্রতি বুধবার মেয়েকে বাজে বাবার গল্প বলো
মৃত মানুষের লজ্জা ভয় অপমান কিছুই নেই
বুক পকেটের এই কবিতা যত্ন করে রেখো।

__অবেলায় সূর্য ওঠে না

৪-০৭-১৭
সিলেট।