রোজা এসেছে, রোজা এসেছে মুসলমানের ঘরে,
খোদার নৈকট্য হাসিল করো ত্রিদশ উপোস করে।
রোজার কালে দিনের বেলা পানাহার বারণ,
রাত্রিকালে সেজদা তলে খোদারে করো স্মরণ।
লোকাড়ালে পেট পুরে ভোজ—নাহি মানা!
অদৃশ্যে কে ‘না’ করে, কে তা অজানা!
গ্রীষ্ম তাপে বক্ষ ফাটে একটু পানির সন্ধানে,
হস্তে নিয়েও জল রেখে দেই কী বিশ্বাসের বন্ধনে!
নিদ্রা হতে লাফিয়ে উঠি শীতের গভীর রাতে,
নুন-জলে ভেজা পান্তা থালা ভরা খোদায়ী বরকতে।
আনন্দে শিশুরাও ঘুম থেকে উঠে,
সেহরিতে শরিক হয় মা-বাবার সাথে।
গঞ্জে-গঞ্জে নব্য রূপে ইফতার ছলে,
অসহায় ভাগ পায় বিত্তবানের থালে।
সাম্য আসিয়া বাঁধে আমাদের এই গাঁয়,
সেই সাম্যের বর্ষণে তেজী নরক নিভিয়া যায়।
দিবসের সব ক্লান্তি নিয়ে হাসি-আনন্দ মনে,
অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকি দিগন্ত পানে।
যবে মুয়াজ্জিন সুর দিবে আজানে,
উপোস বাঁধিয়াছিনু সারাদিন ভর,
খোদার ইশারায় ভাঙিব তা আজানের পর।
ত্রিশ দিনের ত্যাগান্তে ধামে বহে উল্লাসের নহর,
সাম্য-ফুলের ডালা সাজিয়ে নামে ফেরেশতাদের বহর।
আজি সাম্যের মশাল জ্বলে, আধার হয়েছে নিপাত,
এই সাম্য বয়ে যাক চির, করি সকলে শপথ!