শীতের রাতে ঘুম ভাঙল, উষ্ণ কাঁথা গায়,
একলা জেগে ভাবি—
নিস্তব্ধ ধরণী, বড়ই বিভীষিকাময়!

বাড়িটা বেশ উঁচু,
জানালা খুলে দেখি—
পথের ধারে পড়ে আছে শত অবুঝ শিশু!

প্রশ্ন জাগে মনে—
যেই শিশুটি জন্ম নিল রেললাইনের ধারে,
কিংবা কোনো ঝড়ের রাতে, মরা নদীর পাড়ে।
পয়দা হলো অবুঝ শিশু— কী দোষ ছিল তার?
তাকে আজ দিতে হবে ফিরিয়ে পিতৃস্নেহের অধিকার!

স্বর্গ থেকে আসা অবুঝ; হলো সবার চোখের বিষ,
পথশিশুর ব্যথায় ব্যথিত, কেউ কি আছিস?

পিষে ফেল! পিষে ফেল ঐ নরপশুর—
পশু সেই সত্তা!
মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখ,
আর পশুটাকে করো হত্যা!

এক শিশুটি রাজপ্রাসাদে,
ভাগ্য যে তার স্বর্ণদ্বারে,
আরেক শিশুর দিন কেটে যায়—
ফুটপাতে ঘুরে-ফিরে।

মসজিদে ঢের শিরনি বিলিয়ে,
খোদাকে করেছ রাজি।
কিন্তু, হৃদয়ের কানে শুনেছ কি কভু—
পথশিশুর আহাজারি!

কেই-বা তোমায় ধন্য করিল,
শৌর্য-বীর্য বলে?
কেই-বা ওদের নিচে ফেলিল,
অভিশপ্তের ছলে?

বুকের ব্যথা উগলে ওঠে,
বিধির অমোঘ ধাঁধায়—
কেউ কি আছে এই জগতে,
হবে ওদের সহায়?