কতটুকু শিখেছো বসে— প্রাচীরঘেরা জ্ঞানাঙ্গনে,
জ্ঞানের জোয়ারে মন-কল্লোল পেতে যাও ছুটে দিগন্তপানে।
দেখো চেয়ে সিন্ধুকূলে, ঘুরে-ফিরে বন-বাতায়নে,
হিমালয়ের চূড়ায় চড়ে, তরুহীন মরু-ময়দানে।
উতলা মনকে নিয়ে যাও, যৌবনা সে স্বর্গপানে!

চেয়ে দেখো, কিভাবে দাঁড়িয়ে রহে কত পর্বত, কত ভবন!
ঘুরে দেখো প্রান্তে-প্রান্তে নীতি-নীলিমা এ ভুবন।
অবহেলে দেখো তুমি; আপন দেহখানি,
সহসা বলবে— "আমিতেও কত জানার ছিল, না জানি!"

যে যুগে ছিল না বিদ্যাঙ্গন,
যুগে-যুগে জ্ঞানী-গুণীজন—
জ্ঞানের তালাশে করতেন ভ্রমণ।

যে সম্রাট জ্ঞানবলে জয় করল রাজ্য,
সে বলল— "এ জগতে রইল কত অজানা রহস্য!"

সেই বড় মূর্খ, অধম,
যে বলে— "জ্ঞানের অন্তে ফেলেছি কদম!
জ্ঞানান্বেষণে সিদ্ধি করে; হয়েছি জ্ঞানী বেশ,
জ্ঞানের যত ধারা করেছি আমি শেষ!"