আজ ঈদ এসেছে, ঈদ এসেছে,
শত ধারায় সহস্র আনন্দের জোয়ার বয়ে।
এসেছে সে—
যার প্রতীক্ষায় কাটালাম ত্রিশটি দিবস উপোষে।

আজ ঈদের প্রমোদে, প্রীতির মাতাল ভোরে,
আনন্দ বয়ে যায় এ-দোর হতে ও-দোরে।
আজ দূর হয়েছে ধনী-গরিবের বেড়া,
বক্ষে উঠেছে প্রীতি-প্রেমের সুধা!

আজ বন্দি হাসে স্বাধীন প্রাণে,
রুদ্ধ কারার দ্বারও হাসে তার সনে।

আজ মেঘ ডিঙিয়ে সূর্যের আলো,
বুঝি হাসতে হাসতে পাগল হলো!
পলক নড়ে, পুলক ঝরে,
শুভেচ্ছা ছড়ায় আকাশ-ভরে।

আজ জীর্ণ কুল হাসে
গর্জে ওঠা ঢেউ দেখে,
বিলাতে প্রস্তুত সে আপনাকে—
রক্ষা করতে সাম্যের ধরাকে।

আজ আঁধার দেখেও শশী হাসে,
আহ্লাদিত সে,
প্রমোদিত রজনীর ছোঁয়া পেয়ে।
আজ বাবুই হাসে ঝঞ্ঝা দেখে,
চোখ তার ঝলসে ওঠে, উচ্চ-তুচ্ছর আলিঙ্গনে!

আজ এই মাহেন্দ্রক্ষণে,
সন্ধি বেঁধেছে তলোয়ার-খুনে।
রক্ত ঝরা নিষেধ আজ,
পুণ্যময় এ দিনে।

আজ বুক হাসে, আজ মুখ হাসে,
হাসে নয়ন মণি।
আজ রাত হাসে, আজ দিন হাসে,
হাসে এই ধরণী।
আজ আধার হতে আলো হাসে,
পরাধীন গগনে ভেসে,
স্বাধীন কপোত উড়ে আসে,
প্রীতির গন্ধে ভরা বাতাসে।



আজ মুখের খাবার বিলিয়ে দিই,
যত গরীব-দুঃখীর তরে।
ত্রিশ দিনের ত্যাগের পরে,
আমোদ এলো মোদের ঘরে।

আজ অট্টালিকার সুখ নেমেছে
আমার কুঁড়ে ঘরেতে,
আজ অবাক লাগে জগতকে,
এই মিষ্টি দিনের সৃষ্টিতে!