আলোফোটা পাখি ডাকা বিদায় নিলো ভোর,
দূরে কিংবা কাছে সবকিছু ঢেকে নিল কুয়াশার চাদর।
মাকড়সার জালে জমে থাকে কুয়াশার জল,
সূর্যের কিরণে দূর্বাঘাসে শিশির কণা করে টলমল।
পাখিদের গায়ে নামে সন্ধ্যার শীত,
ঝিঝিপোকা গর্তে উকি মেরে গায় ঝিঁঝিঁ গীত।
সকাল সন্ধ্যায় হিম জমে জমে ফুলের পাঁপড়ি যায় লেপ্টে,
চৌকি কিংবা পালংকে বুড়াবুড়ি কম্বল মুড়িয়ে থাকে জাপটে।
ছোটরা পরে সুয়েটার কিংবা জ্যাকেট,
মাঝ বয়সী তরুণ তরুণীরা হিম এড়াতে খেলে রেকেট।
জীবনের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে মাঝি ফেলে জাল,
দল বেধে বালিকা কলেজে যায় গায়ে দিয়ে আসমানী রংয়ের শাল।
শীত এলে ধোয়া উড়া রং চায়ের বেয়ে যায় কদর,
হিম শীতল হাওয়া কাদতে থাকা শিশুকে কোলে নিয়ে মা করে আদর।
শীত এলেই গাও গ্রামে মেতে ওঠে উৎসব পিঠাপুলি,
দারুন শীতে আবডালে চুপটি থাকে ময়না,টিয়া ও বুলবুলি।
বিস্তীর্ণ হলুদ সরিষা মাঠে মধুর আহরণে ছুটে আসে মৌমাছির ঝাঁক,
শীতের কুয়াশায় শহরের দেয়ালে বসে থাকে দাড় কাক।
এই শীতে ফোটে কতশত ফুল গাঁদা,গোলাপ ডালিয়া ও অ্যান্টিরিনাম,
শ্রমজীবী মানুষেরা ব্যাস্ত কর্মে এই শীতেও ঝরায় ঘাম।
শীতের রুক্ষতায় গা যায় ফেটে,
সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা পাখির মত পথিক বাড়ি ফেরে হেঁটে।
শীতের তীব্র কুয়াশায় পানের বরজ পড়ে নুয়ে
কতিপয় মানুষ ব্যতীত সবাই কম্বল মুড়িয়ে তাড়াতাড়ি যায় শুয়ে।