তোমারি অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রিয়।
যখন প্রহরগুলো ক্রমান্বয়ে বিবশ হয়ে আসে..
তোমার অবিনিময়যোগ্য আদরের কথা স্মরণ হয়।
তোমারি অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রিয়
যখন রাত্রির আঁধার ক্রমশঃই পুরু হ’তে থাকে!
তোমার স্মৃতির মেঘ চন্দ্রালোক ঢেকে ঢেকে দেয়।
চতুর্দিকে এক সুপরিচিত ঘ্রাণ নৃত্য ক’রে বেড়ায়
তোমার চিরন্ময়ী ঘ্রাণ ধীরে ধীরে সুস্পষ্টতর হতে থাকে…
এই তুমি এলে… এই এলে হয়তো…!
তোমারি অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রিয়
গ্রীষ্মের পাপড়ির মত
আমার গাঁথা মালা শুকিয়ে গেল
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রিয়…
স্মৃতির তাপে সব পুড়ে গেল
আমার আকাঙ্খা নীরব থেকে গেল
আকাশে কালো মেঘ থেকে গেল
চোখের জল সূর্যের আলোয় শুকালো
তোমারি অপেক্ষায় অপেক্ষায়
আমার বহু শতাব্দী কেটে গেল
তোমায় দেখার আশায় চোখ অন্ধ হয়ে গেল…
মনের মাঝি ভেসে চলে গেলে
আমার আকাঙ্খায় তবু রয়ে গেলে
ফুলেরা সব অসুরভিত থেকে থেকে
শুধু আগুনের ফুলকি হয়ে পুড়ে গেল
মন সাগরের অশ্রু ঢেউগুলো
চিরকাল তোমাকে খুঁজে গেল…
“এই বোধের কোনো ব্যাখ্যা জানা নেই
কারো কাছে কোনোদিন শুধানো হয়নি,
তুমি যখন আমার সীমানায় থাকো না
কেন এমন করে আষ্টেপৃষ্ঠে শীত লাগে!”