আপনাকে চেয়েছি সকালের সুরে চেয়েছি সন্ধ্যারাতে
আপনাকে চেয়েছি কাছে কিবা দূরে প্রতি মুহূর্তে।
সেই আপনি আমাকে তবু দৃষ্টিহীন ক’রে চ’লে যান
তারপরও আপনি আমার স্থির
চোখের পাতা ভিজিয়ে দেন
লোনা জলের ঘ্রাণে ভালোবাসতে বলেছি
সুমদ্র বালির মিহিন চাঁদরে
আরও তবে কিছুক্ষণ আমার সাথে থেকে যান…
পৃথিবীর শান্ত বাতাসে কিভাবে যেন
আপনার ভেজা নিঃশ্বাসের সুগন্ধ লেগে থাকে
আমি সুখ পাই, আমি ঘুমিয়ে যাই
আপনার দিব্য দর্শনে আমার চোখ মসৃন হয়
এই যেন আপনি হারিয়ে হারিয়ে ফিরে আসেন
আমাকে আপনার বুকের কবোষ্ণ আশ্রয়ে রাখেন…
আমি অমলিন তৈলচিত্রের বিমূর্ত আঁচড় হই
সুস্থির অবয়বে আমার অদৃশ্য অশ্রুপাত
আপনাকে দেখি তারপর আবারও বিলীন হয়ে যান…
কিভাবে এমনতর ঘোর অশনি ডাকে
আপনি যেন আর নেই, আপনার ছায়াও অদৃশ্য
ক্ষণিকের দর্শনে কেন তবে
এত সুদীঘল স্বর্গের সুখ !
আপনার হরিণী নয়ন না দেখিলে ক্যান পুড়ে বুক।
ক্যানই বা বর্ষার স্বরচিত বৃষ্টিতে ফোটার মত
সারাক্ষণ মনে পড়তে থাকেন,মন পুড়াতে থাকেন।
আপনি স্মিত অথচ চাঁদের ন্যায় বাঁকানো চোখর ভ্রু
আপনি স্বর্নকেশি;আপনার কেশ বাতাসে দোলে
আমাকে সুধোধ প্রেমিকের বরমাল্যের ভূষনে
আপাদমস্তক হিরন্ময় স্ফটিক ক’রে তোলে
আমি জেগে থাকি কখন তুমি আবির্ভূত হবে
আপনার মোহিনী আঁচলের সুবর্ণ আদর মাখাবে
আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি ক্ষীণ অনাদিকালের প্রতীক্ষায় …