পঞ্চাশ টাকা হিসাবের গরমিলে
লজ্জায় মাথা কাটা গেল গোটা পরিবারের,
ছিঃ ছিঃ পড়ে গেল পাড়ায়, পাড়ায়
বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে গেল,
ছোট ছেলের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হলো।
লজ্জায় পাড়ার পুকুর থেকে পানি
আনা বন্ধ হলো বাড়ির গৃহিনীর।
ইহা বেশী দিন আগের কথা নয়,
তখন মানুষের লজ্ঝা ছিলো।
পঞ্চাশ কোটি টাকা তছরূপ করে
জাতে উঠে গেল নিপেনের ছেলে,
পাড়ার লোকেরা বললো-
পোলাডার সাহস আছে বটে!
বিয়ের আশা ছেড়ে দেয়া মেয়েটির
বিয়ে হয়ে গেল বড়-ঘরে রাতারাতি।
কলেজের বড় নেতা বনে গেল
বছর বছর ফেল করা আদু-ভাই ছেলেটি।
সংঘ-সমিতিতে কদর বেড়ে গেল
নিপেনের ছেলের,
তাকে এখন ‘সে’ বলা যাচ্ছে না।
’তিনি’ এখন মাসে নিদেনপক্ষে দশবার
প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন।
নিপেনের বৌমা চন্দ্রাবতী-
যার গলার আওয়াজ কখনও
ঘরের চৌকাঠ পেরোয়নি,
সে এখন স্থানীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী,
তার মুখে এখন কথার খৈ ফোটে।
ইহা এ-কালের কথা।
এখন মানুষ কান হারিয়েছে।।