জাগো জাগো মানবপ্রেমী,
ঘুমিয়ে আছ কেন!
এদিক ওদিক মারামারি,
সামলাবে কে যেন?

দেশ-বিদেশে লড়াই সংগ্রাম,
জেনেছ কি নিয়া!
খন্ড খন্ড খন্ড-যুদ্ধ কেন ভাই!
মুশকিল হাসান হবে কি দিয়া।

সৃষ্টিতে ছিলোনা কোন ভেদাভেদ,
জাতপাত ধর্ম নিয়া,
জানি শুধুই নারী-পুরুষ,
হতো সুন্দর বিয়া।

কাদের জানি ইচ্ছে হলো,
করলো হরেকরকম ধর্ম তৈরী!
ধর্মের উপর আস্থা হারিয়ে,
তৈরী করল কট্টর বৈরী।

মানুষ যে আর নেইকো মানুষ,
দেশ-বিদেশে চলছে ধর্মের নামে লড়াই,
বড়ছোট আগে-পরে চলছে জোরদার,
কিসের এতো মাথা ব্যথা কিসের ভড়াই।

নারী-পুরুষে একই রক্ত,
গ্রুপের বেলা ভাগ,
রোগীর বেলায় তার প্র‍য়োজন,
তাঁহার বাহিরে থাক্।

যতই কর ধর্মের নামে বারাবাড়ি,
কোন লাভ নাই,
চাঁদ-সূর্য,দিন-রাত্রি সবার হয় এক,
আজও বুঝলোনা কাহার কি চাই।

গাছপালা নদী নালা নাহি কোন ধর্ম,
ছোট-বড় উজান-ভাটি মাত্র,
পৃথিবীতে গুরু শিক্ষক থাকিবে,
মোরা সবাই ছাত্র।

জন্মিলে মরিতে হইবেক,
আটকাবার কেহ কি আছে!
মরিলে শুধুই করিবে আপসোস,
কত কথাই না বলে থাকে পাছে।

বিশ্বাস রাখ বিশ্বাস কর,
আমরা সবাই এক।
সবাই আমরা স্বার্থের পাগল,
মরে গিয়ে দেখ!

কিসের লড়াই কিসের ভড়াই,
কেউ কাহারো নয়,
আপন আপন ভেবে ভেবে,
মনে জোরদার ভয়।

ধর্ম মোদের মানব ধর্ম,
এর উপরে নাই,
মানব সেবাই পরম ধর্ম,
তাইতো বিশ্বাসে ঈশ্বরকে পাই।

কবি,যোগীপুরুষ মহাপুরুষের ইচ্ছে মানুষ হও ভাই, ধর্ম-কর্ম,মনুষ্যত্ব থাকিলে ঈশ্বরকেও দেখতে পাই।