বলছি আমি মৌমিতা,
লিখেছি আকারে কবিতা।
আমি আকারে একজন মেয়ে,
ছিলাম আদরের কন্যা ভালবাসায় ছেয়ে।
ভেবেছিলাম একদিন হব ডাক্তার,
ইচ্ছাটা পরেই রইল, হইলনা সাকার।
আপন কর্ম সেরে ঘুমিয়ে ছিলাম আপন মনে,
আপন লোক হবে শত্রু কে বা জানে।
ভাবিনি কলিগরাই হবে শত্রু আসল,
ছিড়ে ছুড়ে খাবে মোর শরীরের বাকল,
ছিল সহপাঠী মেয়ে ধরেছিল শক্ত হাতে,
না যেন ছুটতে পারি কোন মতোই যাতে।
মুখে চাপা গলায় চাপা করিল স্বাসরুদ্ধ,
হাত-পা  টেনেটুনে  করলো বাকরুদ্ধ।
একে একে কাপুরষের দল ভোগ করল মোরে,
প্রান ভিক্ষা করেও ছুটতে পারিনি জোড়ে।
মোর দেহখানি কামড়ে করিল ক্ষত,
একশত তের খানি কামড়ে করিল ক্ষতবিক্ষত।
দেহের আবরন টেনেহিঁচড়ে করিল উন্মুক্ত,
কাপুরুষের দল ইচ্ছে আকাঙ্খা করিল পোক্ত।
চোখেমুখে দেখেছি কতশত তাঁরা,
শক্তপোক্ত করে ধরেছে মোর কলিগরা।
কতকিছুই বলার চেষ্টা করেছি বাকরুদ্ধ চোখেমুখে,
শুনলো না বুঝলো না ইজ্জত লুটলো আপন সুখে।
ক্লান্ত শরীরটায় মানুষরুপি অসুরের চলছে বর্বরতা,
কি ছিল মোর অপরাধ লুটপাট করিলে দেহটা।
এখানেই থেমে নেই জানোয়ারের দল,
ইচ্ছাপূরনে করল প্রয়োগ বল।
শেষ অব্দি প্রানটাও কেড়ে নিলি,
কেমন মানুষ তোরা পরে ছুঁড়ে ফেলে দিলি।
আর না হোক কারোর ছেলেমেয়ে তোদের মত,
বন্ধ্যাত্বের জীবন কাটুক মা-বাবা যত।
পাবি শাস্তি দেব শাস্তি নরপশুর দল,
প্রাণ ভিক্ষা চাইবি পাবি না জল।
শেষ বেলায় সবাকারে বলে যেতে চাই,
এমন অসুর কন্যাপুত্র কাহারো না যেন জন্মাই।