অভাগিনীর এক করুন গল্প,
ভাষা জানি না লিখেছি অল্প।
করুনাময় ঈশ্বর পাঠিয়েছেন ভবে,
জীবনে অভিসম্ভাবি সুখ দুঃখ রবে।
পিতাহীন ভবে মাতৃ স্নেহে হয়েছি বড়,
বড় একখানা ভাই থাকে অভিসর!
সুখ দুঃখে জীবন পড়াশুনা অল্প,
বিবাহ হয়েছে তরু কল্প।
স্বামী মোর অসাধারণ সন্দেহ ভাজ,
মাঝে মাঝে ধরে করুন সাজ।
তারমধ্যে জুটলো মোর চাকুরী মাস্টার,
ব্যবহারে মনে হয় বোর্ড মুছার ডাস্টার।
মনে মোর জমেছে অনেক কস্ট,
বিশ্বাসহীন মন তাহার করছে নস্ট।
তবু ভালবাসি তাকে ভাবি আপন,
কেন যে সে এমন অবিশ্বাসের বিজ করছে বপন।
দুই সন্তানের জননী আমি দুঃখ কারে কই,
নিজ মনে সুখদুঃখ এমনিতেই সই।
পিতার বাড়ি লন্ডবন্ড মা ভাই প্রান,
মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয় দিয়ে দেই জান।
এইসব চিন্তা করে মনে পাই ব্যথা,
বিবেক মোর নাহী চায় রহি হেথা।
দিন যায় রাত আসে না পাই পাশে,
এমনি কি হয় সংসার একা ভালবেসে।
জানি আমি দিতে ভালবাসার দাম,
প্রয়োজনে নিতে পারি জন্ডু-ব্লাম!
রোগ মোর মনে বড় জঞ্জাল রোগ,
প্রকাশ করিতে পারিনা করছি ভোগ।
জীবন যৌবন কেঁটেছে রয়েছে উপক্রম,
সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে ধরেছে মতিভ্রম।
যাহা আমি জীবনে করিয়াছিলাম অর্জন,
ভক্তি সমেত ইচ্ছে আকাঙ্খা দিয়েছি বিসর্জন।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)